১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও

কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও - ছবি : নয়া দিগন্ত

 

কক্সবাজারের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসিউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মৃত ওই প্রসূতির নাম আফসানা হোসেন শীলা। তিনি কক্সবাজার শহরতলীর নুনিয়ারছড়ার মোহাম্মদ হোসেনের মেয়ে।

এর আগে সদর হাসপাতাল গেটের বেসরকারি ইউনিয়ন হাসপাতাল থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালের আইসিইউতে স্হানান্তর করা হয়। সদ্যজাত কন্যা ছাড়াও মৃত প্রসূতির ৩ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

প্রসূতির স্বামী ইফতেখার গণমাধ্যমকে বলেন, তার গর্ভবতী স্ত্রীর ডেলিভারির সম্ভাব্য তারিখ ছিল ৬ মে। এর মধ্যে পেটে হালকা ব্যাথা অনুভূত হলে ২১ এপ্রিল রাত ১১টা ৩০ মিনিটের সময় ডাঃ নীনা জাহানের রেফারেন্সে সদর হাসপাতালের অদূরে ইউনিয়ন হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ শাহেদ আমার স্ত্রীকে ভর্তি করাতে বলেন। ভর্তির অল্প কিছুক্ষণ পর একটি ইনজেকশন পুশ করা হয় আফসানাকে।
ইনজেকশনটি পুশ করার কিছুক্ষণ পরেই তার প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়। এরপর ২২ এপ্রিল রাত ২টার সময় ডাক্তাররা ডেলিভারির জন্য রক্তের ব্যবস্থা করতে বলেন।

ইফতেখার আরো বলেন, এক ব্যাগ রক্ত চালানোর পর একটি স্যালাইন দেয়া হয়। পরে রাত সোয়া ৩টার সময় ডাক্তার শাহেদ হিমু এবং সোমা নামে দুজন নার্স নিয়ে প্রসূতি আফসানাকে ডেলিভারি করানোর জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। ডেলিভারিতে আফসানা একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।

আফসানার স্বজনরা জানান, এরপর ডাক্তাররা আফসানার ব্লিডিং বন্ধ করতে না পারলে ডাক্তার নীনা জাহানকে ইউনিয়ন হাসপাতাল থেকে বিষয়টি অবগত করা হয়। তখন তার কথামতো সদর হাসপাতালে আনার পর তিনি আফসানাকে আইসিইউতে প্রেরণ করেন। সদর হাসপাতালের ডাক্তার বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় আফসানাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা ইউনিয়ন হাসপাতাল ঘেরাও করে রাখে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

রোগীর স্বজনরা জানায়, ইউনিয়ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভুল চিকিৎসা করে আমাদের মেয়েকে মৃত্যুপথে ঠেলে দিয়েছে। আমাদের মেয়ের দায় ইউনিয়ন হাসপাতালেকে নিতে হবে।

প্রসূতি নারী আফসানা হোসেন শীলা মারা যাওয়ার খবর পেয়ে রাতে ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজনরা ও স্থানীয় মানুষেরা ইউনিয়ন হাসপাতালের আশেপাশে ভীড় করেন।

তারা বলেন, বিশেষজ্ঞ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক ছাড়া আইসিইউ পরিচালনার অভিযোগে কয়েকমাস আগে স্বয়ং স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা: সামন্ত লাল সেন ইউনিয়ন হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করেন ও হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিট সীলগালা করার নির্দেশ দেন।

তবে ইউনিয়ন হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা: মোসাব্বির হোসেন তানিম দাবি করেন, নিহতের স্বজনদের করা অভিযোগগুলো পুরোপুরি ভিত্তিহীন।

এ বিষয়ে কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডাঃ আসিফ আহমেদ হাওলাদার দৈনিক নয়া দিগন্তকে বলেন, প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে ও এতদসংক্রান্ত চিঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে পাঠানো হয়েছে। মেডিসিন, গাইনি ও এনেস্থিসিয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তদন্ত কমিটিতে থাকবেন বলেও জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বিভিন্ন অপরাধে সাতজনের ফাঁসি কার্যকর করল ইরান কিরগিস্তানে আতঙ্কে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা ‘প্রাচীন হিব্রুদের সাথে ইসরাইলি ইহুদিদের জেনেটিক সংযোগ নেই’ মিয়ানমারের স্বর্ণের খনিসমৃদ্ধ এলাকা দখলে নিলো বিদ্রোহীরা ধর্ষণ মামলায় জুজুৎসুর সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার সেকান্দর সাফিয়া ফাউন্ডেশনের ‘বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক সেমিনার’ অনুষ্ঠিত কিরগিজস্তানে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শ সরকারি কেন্দ্রে ধান বেচতে পারে না কৃষক, লাভ খাচ্ছে দালালরা ব্যবসা সম্প্রসারণে ইএসজি কমপ্লায়েন্স রিপোটিং স্ট্যান্ডার্ড থাকা জরুরি জীবন দিয়ে দেশবিরোধী অপশক্তিকে মোকাবেলা করবো : বাহাউদ্দিন নাছিম পাটকলগুলো নিয়ে নতুন করে চিন্তা করছে সরকার

সকল