১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

নোয়াখালীর ২ নাবিকের মুক্তি, পরিবারে স্বস্তি

- ছবি - নয়া দিগন্ত

ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজে থাকা বাংলাদেশী ২৩ নাবিক অবশেষে মুক্তি পেয়েছে। তাদের মধ্যে নোয়াখালীর দু’জন রয়েছে। মুক্তি পাওয়া নাবিকদের পরিবারের স্বস্তি এলেও বাড়ি না আসা পর্যন্ত এক ধরনের উৎকণ্ঠা রয়ে গেছে তাদের মধ্যে।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশী বাণিজ্যক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ২৩ জন নাবিকসহ অপহরণ করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এদের মধ্যে রয়েছেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের নাবিক রাজু (২৭) এবং চাটখিল উপজেলার নোয়াখোলা ইউনিয়নের সিংবাহুড়া গ্রামের নাবিক মোহাম্মদ ছালেহ আহমদ (৪৩)।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নাবিক রাজুর বাড়িতে এসে ঈদ করার কথা ছিল। বাড়িতে নতুন ঘরের কাজও চলছে ঈদের পরে রাজুর বিয়ে উপলক্ষে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে রাজু সবার ছোট। গত বছর নভেম্বর মাসের শেষ দিকে রাজু সিঙ্গাপুর থেকে জাহাজে ওঠে। এরপর প্রথম রমজান থেকে ছেলের জিম্মি দশায় বদলে গেছে পরিবারের চিত্র। ঈদের দুই দিন পর রাজুর মুক্তিতে পরিবারে এখন আনন্দ বিরাজ করছে। দীর্ঘ এক মাস পরে অক্ষত ও জীবিত অবস্থায় মুক্তি পাওয়া রাজুসহ সকল নাবিক দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশে দেশে আসবে, পরিবারের সমদস্যরা সেই অপেক্ষায় আছে।

নাবিক রাজুর বাবা আজিজুল হক বলেন, দীর্ঘ ৩২ দিন পর ছেলের মুক্তির খবরে আমরা পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরলাম। সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে ২৩ নাবিককে উদ্ধারে পদক্ষেপ গ্রহণ করায় তাদের ধন্যবাদ।

অপরদিকে, স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে চাটখিল উপজেলার নাবিক মোহাম্মদ ছালেহ আহমদের পরিবার। তিনিই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ছালেহ আহমদ গত বছর ঈদ করেছেন কর্মস্থলে। স্ত্রী ও তিন কন্যার আশা ছিল, এবার তাদের সাথে ঈদ করবেন। কিন্তু স্বামী জলদস্যুদের হাতে বন্দি হওয়ার খবরে এলোমেলো হয়ে যায় স্বাভাবিক জীবন। তিন মেয়েকে নিয়ে অনেকটা বাকরুদ্ধ ছালেহ আহমেদের স্ত্রী তানিয়া আক্তার। স্বামীর মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি।

তানিয়া আক্তার বলেন, সরকারের কার্যকর ভূমিকায় জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছে নাবিকরা।


আরো সংবাদ



premium cement