প্রবাসীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর জরায়ুতে মরিচ দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ
- হাতিয়া (নোয়াখালী) সংবাদদাতা
- ০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৪৮
দীর্ঘ দুই বছর প্রবাস জীবন থেকে বাড়িতে এসে যৌতুকের জন্য মারধর পরবর্তী স্ত্রীর জরায়ুতে মরিচ ভেঙে দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে শফিক নামে এক স্বামীর বিরুদ্ধে। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ সোনাদিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী যৌতুক নিরোধ আইনে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে তিনি উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযুক্ত স্বামী মো: শফিক (৩০) সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ সোনাদিয়া গ্রামের দুলাল উদ্দিনের ছেলে।
নির্যাতনের শিকার শারমিন আকতার বলেন, ‘দুই বছর আগে আমার স্বামী মো: শফিক বিদেশে যান। এইদিকে তার তিন সন্তানকে নিয়ে তারই বাড়িতে শ্বশুর-শাশুড়িসহ দিনাতিপাত করছি। গত ১৫ মার্চ তিনি বিদেশ থেকে দেশে আসেন। কয়েক দিন পর আমার বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলেলে আমি অপরাগতা প্রকাশ করি। যার কারণে তিনি আমাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করেন এবং আমার সাথে সংসার না করার সিদ্ধান্ত নেন। মার্চের ১৯ তারিখ আমাকে মারধর করার পর আমি আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে তারা সামাজিকভাবে মান্যগণ্য ব্যক্তিদের নিয়ে বসেন এমন অপরাধ আর না করার অঙ্গীকার করেন। পরে আমাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যান।
কিন্তু বাড়িতে নেয়ার পর গত সোমবার রাতে তিনি আমাকে মারধর করেন এবং আমার জরায়ুতে কাঁচা মরিচ ভেঙে দিয়ে দেন। যার অসহ্য যন্ত্রণায় আজ দুই দিন আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়ি। যন্ত্রণায় আমার চোখে কোনো ঘুম নেই।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে জাহাজমারা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিরবিরি গ্রামের আবদুল হাসেমের মেয়ে শারমিন আক্তারের সাথে সোনাদিয়া ইউনিয়নের দুলাল উদ্দিনের ছেলে মো: শফিকের (৩০) পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ২টি ছেলে ও ১টি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় শফিক যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আসছে।
শারমিনের বাবা আবদুল হাসেম জানান, বিয়ের পর শফিককে কয়েক ধাপে টাকা দেয়া হয়েছে। তাদের সন্তানদের জন্য একটি গরু ও মাছের ট্রলার বানানোর সময় এক লাখ বিশ হাজার হাওলাত চাইলে তাও দেয়া হয়। তদুপরি সে বিদেশ যাওয়ার সময় এক লাখ টাকা দাবি করলে সেটাকাও ধার-দেনা করে তাকে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া বিয়ের সময় উপহার হিসেবে দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার ও আসবাবপত্র দেয়া হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য সে বিদেশ থেকে ফিরে এসে নতুন করে আবার তিন লাখ টাকা দাবি করলে আমি অপরাগতা প্রকাশ করি। যার কারণে সে সবসময় আমার মেয়েকে নির্যাতন করে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা