২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খাল বিল অবৈধ জালের দখলে, হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ

- ছবি - নয়া দিগন্ত

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার দেশী মাছের আশ্রয় ও বংশ বিস্তারের অন্যতম আধার নালা, খাল, বিলগুলো অবৈধ জালের দখলে। ফলে সমূলে ধ্বংস হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মা মাছসহ ছোট বড় সব ধরনের মাছ। বছরের পর বছর ধরে ব্যবহার নিষিদ্ধ জাল দিয়ে প্রকাশ্যে এ নিধনযজ্ঞ চালালেও উপজেলা মৎস্য বিভাগ নির্বিকার।

উপজেলার খাতামধুপুর, কাশিরাম বেলপুকুর ও কামারপুকুর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকায় বেশ কিছু নালা ও খাল বিদ্যমান। এগুলোই মূলতঃ দেশী মাছ উৎপাদনের নিরাপদস্থল। সরকারী এসব খাল ও বিলে মাছ মারার ফাঁদ বসিয়েছে কতিপয় মাছ শিকারি। যারা খড়া, বানা, দারকি, জোলেঙ্গা জাতীয় মাছ ধরার স্থায়ী ব্যবস্থা করে নিয়মিত শিকার করছে মাছ।

স্বল্প দূরত্বেই ঘন ঘন এসব স্থাপনের কারণে ওই জলাধারগুলোর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ যেমন ব্যহত হয়েছে তেমনি দেশী মাছসহ অন্যান্য উপকারী জলচর প্রাণীর বংশ বিস্তার ও শারীরিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গত দুই বছর যাবত একেবারে বাধাহীনভাবে অবৈধ জাল দিয়ে মাছ নিধন অব্যাহত থাকায় আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে এসব স্থানের মাছের উৎপাদন।

রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কের খিয়ারজুম্মা থেকে কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের খালিশা পর্যন্ত মাত্র তিন কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ীভাবে প্রায় অর্ধ শতাধিক খড়াজাল বসানো হয়েছে। এ কারণে জাল বসানোর স্থানে খাল ও নালায় বানা লাগিয়ে মাছের চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর ফলে প্রবাহমান খাল ও নালা ছোট ছোট আবদ্ধ ডোবায় পরিনত হয়েছে।

স্বাভাবিক গতিরোধ করায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাষিত হতে না পারায় আশেপাশের ফসলের ক্ষেত দিনের পর দিন জলমগ্ন থাকায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। পাশাপাশি জলাবদ্ধতায় সৃষ্টি হচ্ছে পচন। এতে পরিবেশ দূষণ ঘটছে। বিষাক্ত হয়ে উঠেছে পানি। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দেশী মাছের আস্তানা।

কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের স্থানীয় মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মী মোঃ মিলন ইসলাম জানান, মৎস্য অভয়াশ্রম রক্ষণাবেক্ষণ বা জলাশয়গুলোর স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পরিবেশ ও মৎস্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা গ্রহণে কোনো উদ্যোগই নেই কারো। উপজেলা মৎস্য বিভাগ কৃত্রিমভাবে পুকুরে মাছ চাষীদেরও কোনো প্রকার সহযোগিতা করে না।

তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ের মাছ চাষীদের দেখভালের জন্য আমাদের নিয়োগ দিলেও আমাদের যৎ সামান্য ভাতা দেয়, তাও নিয়মিত নয়। আমাদের পরামর্শ বা চাষীদের চাহিদা মত সেবা প্রদানেও কোনো তৎপরতা নেই। প্রাকৃতিক মৎস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রগুলোর উন্নয়নেও কোনো ভূমিকা নেই। অবৈধ জালে খাল বিল ছেয়ে গেলেও কোনো প্রকার পদক্ষেপ নেয়া হয় না। বিগত দুই বছরে উপজেলার কোথাও কোনো অভিযান চালানো হয়নি এসব বন্ধে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সানী খান মজলিসের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।

সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম হুসাইনের সাথে ফোনে কথা হলে জানান, অবৈধ জাল ব্যবহার এমনিতেই অপরাধ। তার উপর প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা দেশী মাছের উৎপাদনের ক্ষেত্রগুলোতে এসব স্থায়ীভাবে বসানো গুরুতর বেআইনি কাজ। এমন হয়ে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি এখনই মৎস্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিচ্ছি।


আরো সংবাদ



premium cement
জুলাইয়ে ব্রাজিল সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দিলো ভানুয়াতু বিতর্কিত ক্যাচের ছবির ক্যাপশনে মুশফিক লিখেছেন ‘মাশা আল্লাহ’ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি মিরসরাইয়ে অবৈধ সেগুনকাঠসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ মানিকগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া মলিরানীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার ‘এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব’ যদি বন্ধু হও, সীমান্তে অহরহ গুলি কেন : ভারতকে ফারুক সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে ২ ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ

সকল