কোম্পানীগঞ্জে এবার ঘরে ঢুকে সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এবার বসতঘরে ঢুকে সাংবাদিককে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে দুবৃত্তরা। এ ঘটনায় ওই সাংবাদিকের মা ও ছেলেসহ আরো দু’জন আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন বেবী রাণী (৬৫) ও ছেলে রন্তু চন্দ্র (২০)।

আহত প্রশান্ত সুভাষ চন্দ্র (৪৭) দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের বিশেষ প্রতিনিধি ও আঞ্চলিক অনলাইন পোর্টাল চলমান সময়ের চিফ রিপোর্টার।

বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শাহাজাতপুর গ্রামের কবিরাজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

সুভাষের মা বেবী রাণী ও ছোট ভাই প্রজীৎ সুভাষ চন্দ্র অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ মাস কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের দু‘গ্রুপের মধ্যে বিবাদমান দ্বন্দ্বে অস্থিশীল অবস্থা বিরাজ করছে উপজেলায়। এই সময়ে সুভাষের ফেসবুক স্ট্যাটাস ও সংবাদ পরিবেশন নিয়ে সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। কিছু দিন আগে একটি সমাবেশে বক্তব্যের সময় প্রকাশ্যে কাদের মির্জা সুভাষকে হাঁটুর নিচে ভেঙ্গে দেয়ার জন্য তার অনুসারীদের নির্দেশ দেন। দুপুর পৌনে ১টার দিকে সুভাষ তার বসতঘরের সামনের কক্ষে একা শুয়ে ছিলেন। এ সময় মির্জা কাদেরের অনুসারী কেচ্ছা রাসেল, পিচ্ছি মাসুদ, টুটুল মজুমদার, ইমনের নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৪৫ জন অস্ত্রধারী হঠাৎ বসতঘরে হামলা চালায়। সুভাষকে লোহার রড বেধড়ক পিটিয়ে বাম হাতের দুটি অংশে ভেঙ্গে দেয় এবং মাথায় ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। এ সময় সুভাষের মা ও ছেলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাদেরকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের শৌর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে বীরদর্পে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। পরে তাকে তার স্বজনরা উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালীর সদরে পাঠান।

সাংবাদিক সুভাষের ভাইয়ের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ সময় তার এক অনুসারী ফোন রিসিভ করে জানায় তিনি বিশ্রামে আছেন।

ঘটনার পরপরই নোয়াখালী জেলা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা সাংবাদিক সুভাষের ওপর হামলাকারী এবং নির্দেশ দাতাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। একই সাথে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দাও প্রতিবাদ জানান।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো: আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।