০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


পায়ে লিখে বিসিএসে অংশ নেয়ার স্বপ্ন দেখছেন প্রতিবন্ধী শারমিন

-

মাধ্যমিক শ্রেণী পাশ করেই নিজ এলাকায় টিউশনি করছেন।এখন তিনি অর্নাস তৃতীয় বর্ষের ফল প্রার্থী। দৈনন্দিন সংসারের নানা ধরনের অভাব অনটনের পরেও অদম্য সাহস,প্রচন্ড আত্মবিশ্বাস,মেধা, মননের ওপর ভর করে জীবন সংগ্রামে থেমে থাকেননি প্রতিবন্ধী যুবতি শারমিন আক্তার।
দরিদ্র্য, দিনমজুর ও কৃষিজীবি পিতা ফিরোজ আলম ও মা বকুল আক্তারের সংসারে ৫ সন্তানের চতুর্থ জন শারমিন জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধি। দু’হাত থেকেও নেই। পুরোপুরিই অকেজো। তাই দু’পায়ের ওপর ভর করেই তার সব ধরনের পথচলা। জানান, স্কুল-কলেজে চলাফেরার ক্ষেত্রে সহযোগি দু’চাচাতো বোনের কিছুটা সহযোগিতা পান।
একমাত্র ভাই রাশেদ খান ঢাকায় সায়েদাবাদে গাড়ি মেরামত করার প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। বোনদের মধ্যে বড় দু’বোনের বিয়ে হয়েছে। রাশেদ জানান, পরিবারের একমাত্র প্রতিবন্ধী বোনের চাকুরি-বাকুরির ব্যবস্থা হলে একটু স্বস্তির নি:শ্বাস টানতে পারবেন। এ নিয়েই তাদের যত দুশ্চিন্তা আর ভাবনা।
শারমিন নোয়াখালী সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে লেখাপড়ার খরচ হিসেবে কিছু আর্থিক সহযোগিতা পাচ্ছেন। এজন্য সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতার পাশাপাশি নিজের ভবিষ্যত বির্নিমাণে একটি সুদৃঢ় নিশ্চয়তা প্রত্যাশা করছেন।
নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার রামগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষ¦রামপুর গ্রামের লাল মিয়া কেরানী বাড়ির প্রতিবন্ধী শারমিন আক্তার নোয়াখালী সরকারী বিশ^বিদ্যালয় কলেজ থেকে চলতি বছরের দর্শন অনার্স শাস্ত্রের তৃতীয় বর্ষের ফলাফল প্রার্থী।পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি শিখছেন কম্পিউটার।
বলেছেন, পরিবারের সবার অকৃত্রিম ভালবাসা, সহযোগিতা ও সাহসের কারণে তার মনোবল তাকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করেছে।
শারমিন দু’পায়ের মধ্যে ডান পায়ে লিখছেন। পায়ের লিখা অত্যন্ত সারিবদ্ধ ও সুন্দর না বলে পারেন না সহশিক্ষার্থীরা। একই শ্রেণীর প্রিয়া স্মরনী জানান, সে হাত দিয়ে লিখতে পারলে টাইপিং বলা যেতো তার লিখাকে।
শারমিন জানান, স্মাতকোত্তর ডিগ্রী শেষে বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেবেন। শারমিন বলেন, তিনি দেশবাসীকে জানাতে চান শাররিক সমস্যা নিয়েও তিনি মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। সংগ্রাম করছেন। তিনি বুঝাতে চান, প্রতিবন্ধিতাও কোন সমস্যা নয়, যদি তা জয় করা যায়।


আরো সংবাদ



premium cement