ময়মনসিংহে ধূমপানমুক্ত হোটেল-রেস্তুরা চান মালিকরা
- ময়মনসিংহ অফিস
- ১০ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
বাংলাদেশে তিন কোটি ৭৮ লাখ মানুষ তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার ও ধূমপান করে। পাশাপাশি তিন কোটি ৮৪ লাখ মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। এদের মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগ মানুষ শুধুমাত্র রেস্তোঁরাসমূহে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। প্রতিবছর তামাকের কারণে অকালমৃত্যুবরণ করেন এক লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ, অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে মারা যাচ্ছেন ৪৪২ জন এবং তিন লাখ ৮২ হাজার মানুষ পঙ্গুত্ববরণ করছেন। তামাক থেকে বার্ষিক রাজস্ব ২২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা আয় হলেও তামাক ব্যবহারে ক্ষতি হচ্ছে ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতিবছর ক্ষতি হচ্ছে আট হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশে ৩১ শতাংশ বন উজাড়ের জন্য তামাক চাষ দায়ী। গতকাল মঙ্গলবার ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ ও শতভাগ ধূমপানমুক্ত হসপিটালিটি সেক্টর গঠনে করণীয়’-শীর্ষক বিভাগীয় মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
সভায় হোটেল-রে¯েঁÍারা ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় রে¯েঁÍারায় ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রে¯েঁÍারা মালিকরা।
ইন্টিগ্রেটেড সোসাইটি ফর রেইজ অব হোপ-রিশ’র সহযোগিতায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টর আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তাহমিনা আক্তার।
বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মো: ফারুক হোসেন, বিভাগীয় কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার আরিফুল ইসলাম, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ, তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী শরিফুল ইসলাম, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিয়া, হোটেল-রে¯েঁÍারা মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এম রেজাউল করিম সরকার রবিন, ময়মনসিংহ হোটেল-রে¯েঁÍারা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শরীফ উদ্দিন প্রমুখ।