১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

পতন থেকে ২ দিন পর উঠলো পুঁজিবাজার

৩৪ শতাংশ বিক্রির চাপের বিপরীতে ক্রেতা ৬৬ শতাংশ
-

চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই দিন দর ও সূচক পতনের জালে ছিল। গতকাল বের হওয়ার চেষ্টায় সফল হয়েছে। দুই পুঁজিবাজারেই সূচকের সাথে দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির সংখ্যাও বেড়েছে। লেনদেনের সূচনা থেকেই ইতিবাচক পথে ছিল পুঁজিবাজার। ৩৪ শতাংশ বিক্রির চাপের বিপরীতে কেনার চাপ ছিল ৬৬ শতাংশ। ডিএসই থেকে চট্টগ্রাম স্টকের সূচকে পয়েন্ট ফিরেছে বেশি। বাজার ইতিবাচক পথে ফিরলেও ডিএসইতে ৪১.১১ শতাংশ এবং সিএসইতে ৪৪.২৩ শতাংশ কোম্পানি দরপতনের শিকার ছিল।
দিনের লেনদেনের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ডিএসইএক আগের দিনের চেয়ে ২১.৬৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২৪১.৮৩ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৬.৭০ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ১৪৯. পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৯.৯৪ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৮৭৭.৯৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে। লেনদেন হওয়া ৩৯৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৭১টির, কমেছে ১৬২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬১টির। এ দিন ডিএসইতে ১৩ কোটি ১৩ লাখ ৯০ হাজার ৪৬৯টি শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ড হাতবদল হয়েছে মোট ৫২৪ কোটি ৫৬ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকায়। আগের দিন সোমবার ৪৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা বেশি। ওই দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৭৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকার। শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে গতকাল ৪৫টি কোম্পানির এক কোটি ২৪ লাখ ৩৪ হাজার ২৩৮টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়েছে মোট ৯৯ কোটি ৮৫ লাখ ৭৯ হাজার টাকায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হতে দেখা গেছে পাঁচ কোম্পানির। সেগুলো হলো- রেনাটা লিমিটেড, ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড, রূপালী লাইফ ইন্সুরেন্স, ব্র্যাক ব্যাংক এবং আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এই পাঁচ কোম্পানির মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৭ কোটি ৯২ লাখ টাকারও বেশি।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে রেনাটা লিমিটেডের শেয়ার। এ ছাড়া কোম্পানিটির ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৪০০টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে মোট ৫২ কোটি ৫৬ লাখ ৬২ হাজার টাকায়। ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের ৭ কোটি ৮৪ লাখ ৯০ হাজার টাকার এবং রূপালী লাইফ ইন্সুরেন্সে ৬ কোটি ৭৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকার শেয়ার বেচাকেনা হয়েছে। অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- ব্র্যাক ব্যাংকের ৫ কোটি ৬৬ লাখ ২ হাজার টাকার এবং আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৫ কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
অপর দিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবগুলো সূচকই উল্লেখ করার মতো বেড়েছে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১১.০২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৮৩৭ পয়েন্টে রয়েছে। এ ছাড়া সিএসই-৩০ সূচক ১৮৮.৩৯ পয়েন্ট, সিএসই-৫০ সূচক ১১.৯৭ পয়েন্ট এবং সিএসসিএক্স বেড়েছে ৬৭.৩৩ পয়েন্ট। সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২১৭টি কোম্পানির মধ্যে ৯০টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯৬টির বা ৪৪.২৩ শতাংশ এবং ৩১টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে দুই কোটি ৯১ লাখ ২৬ হাজার ৪৯০টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড বেচাকেনা হয়েছে মোট ১৪৫ কোটি ৭৯ লাখ ৬৬ হাজার ৪০২ টাকায়।
বাজার বিশ্লেষক রয়্যাল কাপিটালের পর্যবেক্ষণ হলো, ডিএসইতে গতকাল ক্রেতার চাপটা বেশি ছিল। ৫৮ শতাংশ ক্রেতা থাকলেও কেনার চাপ ছিল ৬৬ শতাংশ। আর ৩২ শতাংশ বিক্রেতা থাকলেও বিক্রির চাপ ছিল ৩৪ শতাংশ।


আরো সংবাদ



premium cement