১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

চুয়াডাঙ্গায় ১৫ ডাক্তার দিয়ে চলছে ২৫০ শয্যার হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা

-

চুয়াডাঙ্গায় মাত্র ১৫ জন ডাক্তার দিয়ে চলছে ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসা। এতে প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার রোগীরা। ২০০৩ সালে ৫০ শয্যার সদর হাসপাতালকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছিল। পরে ২০১৮ সালে ২৫০ শয্যা হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হয় ওই বছর ২৮ অক্টোবর তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ১০০ শয্যার হাসপাতালকে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল হিসেবে উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর পেরিয়ে গেছে পাঁচটি বছর। তবুও আজ পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ১০০ শয্যার হাসপাতালকে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ফলে এখানে নেই ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ওষুধ, খাদ্য ও জনবল।
জানা গেছে, ৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রথম শ্রেণীর চিকিৎসকের অনুমোদিত পদ রয়েছে ২২টি। এর অধিকাংশ পদে স্থায়ী জনবল নেই। স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে মাত্র ১৫ জন ডাক্তার রয়েছে। ৭টি পদ শূন্য।
অপর দিকে ১০০ শয্যা হাসপাতালের অনুমতি থাকলে জনবল নেই। ১৯৭০ সালে নির্মিত ৫০ শয্যা হাসপাতালে ২২ ডাক্তার বরাদ্দ থাকলেও রয়েছে অনেক কম। এখানে চিকিৎসক রয়েছে মাত্র ১৫ জন। আর এই ১৫ চিকিৎসকের অধিকাংশ রয়েছেন অস্থায়ী ভিত্তিতে। মাত্র ১৫ চিকিৎসক দিয়ে ২৫০ শয্যা হাসপাতাল চলছে।
পদ শূন্য রয়েছে সিনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি), সিনিয়র কনসালট্যান্ট চক্ষু, সিনিয়র কনসালট্যান্ট অ্যানেস্থেসিয়া, সিনিয়র কনসালট্যান্ট শিশু, মেডিসিন ও জুনিয়র কনসালট্যান্ট ইএনটি, রেডিওলজি ও মেডিক্যাল অফিসারের পদ।
তবে জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অর্থোপেডিক ও সার্জারি), মেডিক্যাল অফিসারের তিনটি পদ, ডেন্টাল সার্জন, মেডিক্যাল অফিসার হোমিও এবং আয়ুর্বেদিক পদে অন্য হাসপাতালের চিকিৎসক সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা: উম্মে ফারহানা বলেন, ২০১৮ সালে ২৫০ শয্যা হাসপাতালের উদ্বোধন হলেও আজ পর্যন্ত তার অনুমতি মেলেনি। ২০১৩ সালে ১০০ শয্যার হাসপাতাল অনুমোদিত হলেও আজ পর্যন্ত জনবল বরাদ্দ দেয়া হয়নি। ৫০ শয্যার জনবলের চাইতেও কম জনবল দিয়ে হাসপাতাল চলছে। এখানে শয্যার বিপরীতে তিন-চার গুণ বেশি রোগী সবসময় ভর্তি হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement