১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

পতনের পথেই হাঁটা শুরু পুঁজিবাজারের

-

- চলতি বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনি¤œ লেনদেন
- সূচক ৫ বছর আগের অবস্থানে
- ডিএসইর তারল্য কমেছে ০.৫২ শতাংশ

সরকারের উচ্চপর্যায়ের বৈঠককে কেন্দ্র করে পুঁজিবাজারকে একদিন পতন থেকে তুলে আশার আলো দেখানো হয় বিনিয়োগকারীদের। কিন্তু নিমেষেই সেই স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করছে পুঁজিবাজার। আবার দু’দিন ধরে পতনের পথেই হাঁটছে বাজারটি। হতাশ বিনিয়োগকারীরা।
পাঁচ বছর আগে ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ছিল পাঁচ হাজার ১৭৫ পয়েন্ট। পাঁচ বছর এক মাস পর গতকাল ডিএসইর সূচক দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ২২৮ পয়েন্টে। সবগুলো সূচকের সাথে লেনদেন কমেছে। গত দুদিনে ডিএসইতে প্রধান সূচক কমেছে ৮২ পয়েন্টের বেশি। আর সিইসিতে কমেছে দুই শ’ পয়েন্টের বেশি। ডিএসইতে লেনদেন কমে তিন শ’ কোটি টাকার ঘরে। ডিএসইর তারল্য কমেছে ০.৫২ শতাংশ বলে জানায় বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান রয়েল ক্যাপিটাল।
সারা দিনের লেনদেনের তথ্য থেকে বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে চলতি বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনি¤œ। চলতি বছরের মধ্যে ৩ জানুয়ারি ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২৯২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আর গতকাল লেনদেন হয়েছে ৩০৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫০.৩৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে পাঁচ হাজার ২২৮.৮২ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৩.৫৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ১৩৮.৯৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৬.৭৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ৮৬৯.৯৩ পয়েন্টে।
বারো কোটি ৭৯ লাখ ৬১ হাজার ৫৭৫টি শেয়ার মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ড ডিএসইতে ৩০৬ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়েছে। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ৪৪০ কোটি ৭২ লাখ টাকার। লেনদেন কমেছে ১৩৪ কোটি টাকার বেশি।
ডিএসইতে ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৪টির, কমেছে ২৮৬টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪টির।
আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৩৪ লাখ ২০ হাজার ৮৬০টি শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে সাত কোটি ৮৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকায়। সিএসইতে ২২২টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৭টির, কমেছে ১৬৭টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টি প্রতিষ্ঠানের।


আরো সংবাদ



premium cement