প্রাক-বাজেট ব্রিফিংয়ে ঢাকা স্টক সঙ্কটময় পুঁজিবাজারে নতুন করের বোঝা না চাপানো
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ২৯ মে ২০২৪, ০০:০৫
দেশের পুঁজিবাজার বর্তমানে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এ সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারে নতুন করে করের বোঝা না চাপানোর অনুরোধ জানিয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আসন্ন আগামী অর্থবছরের (২০২৪-২৫) বাজেটে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স আরোপ না করার দাবি জানিয়েছেন তারা। ডিএসইর চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, এ পরিস্থিতিতে ইনসেটিভ বা সহায়তা না দিয়ে নতুন করে করের বোঝা চাপিয়ে বাজারের ওপর একটি নেগেটিভ মনোভাব সৃষ্টির প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না। বাজার যখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে, সে সময় সরকার বা এনবিআর আমাদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারে।
রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে গতকাল প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় ডিএসই। সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও, শরীফ আনোয়ার হোসেন, ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাত্বিক আহমেদ শাহ, জিএম মো: সামিউল ইসলাম ও মোহাম্মদ আসাদুর রহমান প্রমুখ।
ডিএসইর চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, বর্তমানে দেশের পুঁজিবাজার ক্রান্তিকালে রয়েছে। বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে আস্থার সঙ্কট তৈরি হয়েছে। করোনাকালীন একটা প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। পরবর্তী সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। ওই প্রেক্ষাপটে আমরা হয়তো পুঁজিবাজারকে ওইভাবে ঘুরে দাঁড় করাতে পারিনি বা ঘুরে দাঁড়ায়নি। তিনি বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের মাধ্যমে পরিচালিত সিকিউরিটিজ লেনদেনের মূল্য পরিশোধকালে শূন্য দশমিক ০৫ শতাংশ হারে কর সংগ্রহ করে। এ করের হার আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। আন্তর্জাতিক সর্বোত্তম অনুশীলনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এ কর কর্তনের হার হ্রাস করা প্রয়োজন।
ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান বাজার পরিস্থিতি, করোনা মহামারীর প্রভাব বিবেচনা করে এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে এ ধরনের করের হার ০.০৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.০১৫ শতাংশ করা যেতে পারে।
আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে ৫টি প্রস্তাব দিয়েছে ডিএসই। সেগুলো হলো, লেনদেনের মূল্যের ওপর টিডিএস’র হার ০.০৫ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.০২০ শতাংশ করা। উৎসে লভ্যাংশ আয়ের ওপর কর সম্পূর্ণ এবং চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হিসাবে বিবেচনা করা এবং লভ্যাংশ প্রাপ্তির প্রথম ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত কর ছাড়। লভ্যাংশ আয়ের ওপর উৎস করকে, সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর উৎসে কর্তনকৃত কর এর ন্যায় চূড়ান্ত করদায় হিসেবে বিবেচনা করা।
তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্পোরেট কর হার হ্রাস করা। বর্তমানে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সঙ্গে অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্পোরেট কর হারে ৭.৫ শতাংশ ব্যবধান রয়েছে। এই ব্যবধান বাড়িয়ে ১০ থেকে সাড়ে ১২ শতাংশ করা। তালিকাভুক্ত বন্ড থেকে অর্জিত আয় বা সুদের ওপর কর অব্যাহতি। স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ লেনদেন থেকে মূলধনী মুনাফার ওপর নতুন করে কর আরোপ না করা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা