১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বিভিন্ন স্থলবন্দরের কার্যক্রম আবার শুরু

-

ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষের বন্ধের পর দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে।
পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, টানা আট দিনের ছুটি শেষে আবারো আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে বন্দরটিতে ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্য আমদানি রফতানি শুরু হয়।
বন্দর সূত্র জানায়, গত ৮ এপ্রিল সকাল থেকে টানা আট দিনের বন্ধ ছিল বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি রফতানি কার্যক্রম। স্থলবন্দরের আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সাথে ভারতের ফুলবাড়ি এক্সপোর্টার ইম্পোর্টার অ্যান্ড অয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের আলোচনার মাধ্যমে যৌথভাবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কুদরত-ই-খুদা মিলন বলেন, উভয় দেশের ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের আলোচনার মাধ্যমে ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আট দিন বন্ধ ছিল স্থলবন্দরের কার্যক্রম। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশের একমাত্র চতুদের্শীয় স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের সাথে ভারত, ভুটান, নেপাল এর বিভিন্ন প্রকার পণ্য আমদানি-রফতানি হয়।
ঈদ ও বাংলা নববর্ষের ছুটি শেষে সোমবার সকাল থেকে আবারো আমদানি রফতানি শুরু হয়েছে। স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের (আইপিসি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অমৃত অধিকারী বলেন, ঈদ এবং নববর্ষ উপলক্ষে স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল। তবে এই সময়ে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত ভ্রমণকারীদের যাতায়াত কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল।
বেনাপোল (যশোর) সংবাদদাতা জানান, ঈদ ও নববর্ষের ছুটি শেষে সোমবার খুলেছে দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল; তবে বন্দরে পুরোপুরি কর্মচাঞ্চল্য ফিরতে আরো ক’দিন সময় লাগবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সোমবার সকাল থেকে বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি শুরু হয়েছে বলে বেনাপোল শুল্কভবনের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজ খান জানান।
তিনি বলেন, “ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পাঁচ দিন বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বন্ধ ছিল।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, দেশের ৭৫ ভাগ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাঁচামালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এই বন্দর দিয়ে।
‘আমদানিকারকরা গ্রামে ঈদ করতে যাওয়ায় এখনো ঢাকায় তাদের অফিস খোলেনি। তাই বন্দর থেকে পণ্য খালাসও তেমন নেয়া হচ্ছে না।’
পুরোপুরি কাজ শুরু হতে আগামী শনি-রোববার লেগে যাবে বলে তিনি মনে করেন।
এ দিকে ঈদের ছুটিতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে টানা পাঁচ দিন আমদানি রফতানি বন্ধ থাকায় ওপারের পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় তীব্র ট্রাকজটের সৃষ্টি হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement