শতবর্ষী কলেজগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার দাবি
- বরিশাল ব্যুরো
- ০৬ জুন ২০২৪, ১৯:০৪, আপডেট: ০৬ জুন ২০২৪, ২০:২৯
বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজসহ শতবর্ষী কলেজগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার তারা বিএম কলেজের অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে এবং ক্যাম্পাসে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠালব্দ ১৮৮৯ সাল থেকে সরকারি ব্রজমোহন কলেজের আছে সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য। সরকারি ব্রজমোহন কলেজ (১৮৯৮-১৯৪৭) সাল পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং (১৯৪৭-১৯৯২) সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল। বরিশাল তথা বাংলাদেশের উন্নয়নে ব্রজমোহন কলেজ বা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের অবদান উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ রাষ্ট্রীয় বহু উচ্চপদে কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতার পরিচয় রাখছে।
আমাদের কৃতি সাবেকরা হলেন, নলীনি দাস, তারকেশ্বর সেনগুপ্ত, জীবনানন্দ দাস, আহসান হাবীব, উপ-মহাদেশের শ্রেষ্ঠ সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, সুরকার আলতাফ মাহমুদ, শেখ মনি, কবি আসাদ চৌধুরী, নিবারন চন্দ্র দাশগুপ্ত, প্রখ্যাত সাহিত্যিক ওয়ালী উল্লাহ নওজোয়ান, আইয়ুব আলী খান, সাহিত্যিক নারায়ন গঙ্গপাধ্যায়, অর্থনীতিবিদ ড. স্বদেশ বসু, টেগোর সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা পান্না লাল দাশগুপ্ত, রওশন আরা বাচ্চু, স্বাধীনতা সংগ্রামী জিতেন্দ্রনাথ কুশারী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সাবেক হুইপ আ স ম ফিরোজ, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, কর্নেল জাহিদ ফারুক শামীম, নাসার ফুয়েল সেলের প্রধান দিলীপ কুমার চক্রবর্তী, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাহিত্যিক রনেশ দাশগুপ্ত ও তপংকর চক্রবর্তী, বর্তমান মন্ত্রীপরিষদ সচিব মাহাবুব হোসেন, ড. শাম্মী আহমেদ প্রমুখ গুণি মানুষ।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তারিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘কিছু জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে যে সরকারি কলেজগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অধিভুক্ত হবে। শিক্ষামন্ত্রী এটা বাস্তবায়নে উদ্যেগী হয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন ছিল, ‘শতবর্ষী কলেজগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অধিভুক্ত করা হবে।’ আমাদের কলেজ যেহেতু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল, তাই দাবি হলো ব্রজমোহন কলেজকে যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অধিভুক্ত করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অধিভুক্ত হলে কলেজের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষিত থাকবে এবং শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা (পি.এইচ.ডি) ও গবেষণার সুযোগ পাবে। অতএব, আপনার কাছে সাধারন শিক্ষার্থীদের দাবি যে সরকারি ব্রজমোহন কলেজের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে এবং শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার (পিএইচডি) স্বার্থে ব্রজমোহন কলেজকে যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের অধীনে অধিভুক্ত করা হয় ‘
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা