১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

মির্জাগঞ্জে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৯ হাজার পশু

- ছবি : নয়া দিগন্ত

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে প্রস্তুত রয়েছে নয় হাজার পশু। তারা বিভিন্ন হাঁটে নিচ্ছেন বিক্রির জন্য। আবার কেউ খামার থেকে ক্রয় করে নিচ্ছেন। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে উপজেলার খামারিরা গবাদিপশু পালন করে থাকেন। বাড়তি লাভের আশায় অনেকে দুই-তিন মাস আবার কেউ কেউ ছয় মাস আগে থেকে গবাদিপশু পালন শুরু করেন। এবারো অন্য বছরের তুলনায় ব্যতিক্রম নয়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় ৮৪৬ খামারি রয়েছে। তবে, ব্যক্তি পর্যায়ে নিজ বাসা বাড়িতে কোরবানির জন্য পশু পালন করছেন। এ সকল খামারে নয় হাজার ৮৪২টি পশু রয়েছে। এর মধ্যে খামারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে কোরবানিযোগ্য প্রস্তুত হয়েছে ৫ হাজার ৫০০ গবাদিপশু। এ বছর উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে নয় হাজার ২০০টি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ইতোমধ্যেই এসব পশু বিক্রির জন্য জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে তোলা হচ্ছে। দামদরে মিলে গেলে বিক্রিও করা হচ্ছে। উপজেলার বাইরের ব্যাপারিরাও খামার থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কিছু কিছু ব্যাপারিরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে ব্যক্তি পর্যায়ে পালিত গরু কিনে ঈদের আগে ঢাকাসহ দেশের বড় হাটগুলোতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চাহিদার অতিরিক্ত পশুগুলো ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য পাঠানো হবে। আবার উপজেলার বাইরের অনেক পশু এই উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বেচাকেনা হবে। সব মিলিয়ে এ উপজেলায় কোরবানির পশুর কোনো সঙ্কট পড়বে না। দেশীয় পশুতেই কোরবানি সম্পন্ন করতে পারবেন উপজেলাবাসী এমনটা প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

এ দিকে, গবাদিপশু মোটাতাজাকরণে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার রোধে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। খামারি ও পশু পালনকারী ব্যক্তিদের মধ্যে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে সচেতনতামূলক বার্তা।

জানা গেছে, এ উপজেলায় স্থায়ী হাট রয়েছে পাঁচটি। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে স্থায়ী হাটসহ ছয়টি পশুর হাট বসবে। এসব হাটে কোরবানিযোগ্য পশুগুলো বিক্রির জন্য তোলা হবে। ইতোমধ্যেই কিছু কিছু হাটে বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রচারণা চালাচ্ছে অস্থায়ী হাটের ইজারাদাররা।

পুষ্টি উপজেলার ছৈলাবুনিয়া এলাকার এগ্রো অ্যান্ড ফিসারীজের মালিক মো: আব্দুল রাজ্জাক বলেন, ‘আমার খামারে কোরবানি উপলক্ষে ৩০টি গুরু প্রস্তুত করা হয়েছে। তার মধ্যে একটা রয়েছে ১০ মণ ওজনের ‘রাজা বাবু’। রাজার দাম হাকা হয়েছে ৩ লাখ টাকা। এ সকল গরু দেশীয় উপায়ে প্রস্তুত করা হয়েছে।’

মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো: আলাউদ্দিন মাসুদ জানান, খামারগুলোয় কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে পালিত পশুর প্রায় সবই দেশীয় জাতের। খামারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে পালিত পশুর প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

তিনি আরো বলেন, উপজেলার চাহিদার অতিরিক্ত কোরবানিযোগ্য গবাদি পশু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাবে। আবার বিভিন্ন জেলার পশুও এ উপজেলায় আসবে। তাই ঈদে কোরবানির পশুর কোনো সঙ্কট হবে না বরং চাহিদার অতিরিক্ত পশু রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement