ঘূর্ণিঝড় রেমাল : ট্রলার ভেঙে লণ্ডভণ্ড, ২ শতাধিক জেলে পরিবার নিঃস্ব
- পাথরঘাটা (বরগুনা) সংবাদদাতা
- ৩০ মে ২০২৪, ২১:২৮
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে উপকূলের বিষখালী-বলেশ্বর নদী ও খালের মধ্যে রাখা দুই শতাধীক ট্রলার ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয় গেছে। এ ক্ষতিতে জেলে পরিবার গুলো নি:স্ব হয়ে পড়েছে।
এদিকে জেলে এবং ট্রলার মালিকদের ধারনা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা না থাকলে গভীর বঙ্গোপসাগরের প্রচুর পরিমাণে ট্রলার যেমন ক্ষতি হতো তেমনি প্রাণহানিও হতো বলে মনে করেন মৎস্যজীবীসহ সুশীল সমাজ।
সবশেষ তথ্যানুযায়ী ঘূর্ণিঝড় রেমালে বিষখালী ও বলেশ্বর নদে নোঙর করে রাখা ছোট ছোট মাছ ধরা ট্রলার দুমরে মুচড়ে যায়। এতে প্রায় শতাধিক ট্রলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, বিষখালী নদীর ছোনবুনিয়া এলাকায় নোঙর করে রাখা ২৫টি ছোট ছোট মাছ ধরা ট্রলার পানির চাপে দুমরে মুচড়ে যায়। প্রতি ট্রলারেই জাল ছিল। বিষখালী নদী-সংলগ্ন কাকচিড়া, মাঝের চর, ছোনবুনিয়া, কালমেঘা, কুপধন, বলেশ্বর নদ-সংলগ্ন গাববাড়িয়া, দক্ষিণ চরদুয়ানী, টেংরা ও তাহার বাড়িয়াসহ একাধিক জায়গায় নোঙর করা ট্রলার বিধ্বস্ত হয়। এছাড়াও গভীর বঙ্গোপসাগরের মাছ ধরা বড় ট্রলার খলিলুর রহমানের মালিকানা এফবি লিমা ট্রলারটিও সম্পুর্ণ দুমরে মুচড়ে যায়।
জেলে মনির হোসেন, কবির মিয়া, ফারুক হোসেন জানান, বন্যার আগের দিনই ঘাটে ট্রলার নোঙর করে রেখেছি। রাতে এবং বন্যায় আমাদের ট্রলার দুমরে মুচড়ে যায়। অনেক ট্রলার সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়ে গেছে। একমাত্র উপার্জনের পথ ট্রলার বিধ্বস্ত হওয়ায় আমরা নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘বিষখালী ও বলেশ্বর নদে থাকা প্রায় দুই শতাধিক ছোট মাছ ধরা ট্রলার দুমরে মুচড়ে যায়। প্রতি জেলে পরিবার একমাত্র উপার্জনক্ষম ট্রলারটি বিধ্বস্ত হওয়ায় নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছেন। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা না থাকলে গভীর বঙ্গোপসাগরের প্রচুর পরিমাণে ট্রলার যেমন ক্ষতি হতো তেমনি প্রানহানিও হতো।’
তিনি আরো জানান, এর আগে গত ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরে ব্যাপক প্রাণহানি ও জানমালের ক্ষতি হলেও তুলনামূলক রেমালে ক্ষতি বেশি হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা