১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কুয়াকাটাসহ উপকূলীয় এলাকা ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড

কুয়াকাটাসহ উপকূলীয় এলাকা ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড - ছবি : নয়া দিগন্ত

কুয়াকাটাসহ উপকূলীয় এলাকা ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতটি বঙ্গোপসাগর থেকে ফুঁসে ওঠা জলোচ্ছ্বাসে ডুবে আছে নিমাঞ্চল। সৃষ্ট ঘূর্ণীঝড়ের তাণ্ডবে তথা একটানা দু‘দিনের দমকা হাওয়ায় উপকূলের হাজার হাজার গাছ পালা উপড়ে ফেলেছে।

গাছের নীচে চাপা পড়ে অনেক গবাদি পশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। একটানা বাতাশের গতিতে অনেক বাড়ির টিনসেট ঘরের চালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে। এছাড়া অনেক মাদরাসা-মসজিদও বিধস্ত হয়ে গেছে।

অসংখ্য ফলফলাদির গাছ উপড়ে ফেলেছে পাগলা বাতাশে। তাতে উপকূলবাসির কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছে।

কুয়াকাটা সৈকত লাগোয়া জাতীয় উদ্যান, পর্যটন পার্ক, লেম্বুর চর, শুঁটকিপল্লি এলাকা জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঝুঁকির মুখে পড়েছে সৈকতে নামার রাস্তার পাশে অবস্থিত পর্যটন পুলিশ বক্স, এর পাশের চা-পানের দোকানসহ বেশ কিছু স্থাপনা। সৈকতে নামার প্রধান সড়কটি জোয়ারের চাপে অন্তত ২০ ফুট ভেঙে বিলীন হয়েছে। কুয়াকাটার জাতীয় উদ্যান, পর্যটন পার্ক-সংলগ্ন এলাকার কয়েক শত শত ঝাউগাছ, নারিকেলগাছ উপড়ে পড়েছে। সৈকতের জোয়ারের পানিতে লাশের মতো গাছগুলো পড়ে আছে।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কুয়াকাটাসহ পটুয়াখালীর জেলার প্রতিটি ইউনিয়নের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানিবন্দী রয়েছে হাজার হাজার পরিবার। ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে কুয়াকাটার কাউয়ারচর এলাকায় মৃত্যু হয়েছে এক জনের।

ঘূর্ণিঝড় রেমালে কুয়াকাটার অরকা পল্লির ১৫০টি ঘরের মধ্যে ২০-২৫টি ঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় শামুক-ঝিনুক, শুঁটকি মাছের দোকান, চা-পানের দোকান, খাবার হোটেলসহ অন্য এক শতাধিক স্থাপনার চাল উড়ে গেছে। এতে প্রতিটি দোকানের মালামাল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

এ দিকে অতি বর্ষণে কুয়াকাটা পৌরসভার পশ্চিম কুয়াকাটা, মাঝিবাড়ি, তুলাতলী, নবীনপুর, রাখাইন মহিলা মার্কেট এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এসব এলাকার বাসিন্দাদের জনজীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক তথ্যমতে, জেলায় নয় হাজার ১০৫টি পুকুর,৭৬৫টি মাছে ঘের এবং ১২০টি কাঁকড়া ঘের প্লাবিত হয়েছে। এতে মৎস্য চাষীদের ১৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া জেলায় তিন হাজার ৫০০ কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্থ হয়েছে, হাজার হাজার গাছপালা উপড়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে জেলায় ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান ২৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা।

এছাড়া পটুয়াখালীতে তিন কিলোমিটার এবং কলাপাড়া উপজেলায় চার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এদিকে অনেক স্থানের বিদ্যুতের খুটি ভেঙে পড়ে আছে। গত দুই দিন ধরে বিদ্যুৎহীন রয়েছে অনেক এলাকা।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম জানান, ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা আজই মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হবে। আশা করছি ক্ষতিগ্রস্থরা সহায়তা পাবে।


আরো সংবাদ



premium cement
দেশকে উন্নত ও শক্তিশালী করতে আমরা বদ্ধপরিকর : প্রধান উপদেষ্টা হাসিনার রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে, ফিরে আসার সুযোগ নেই : সোহেল আমাদের সংবিধান ও পার্বত্য শান্তিচুক্তি চব্বিশের নতুন বাংলাদেশে বিজয় দিবস বাংলাদেশের ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব চীনের রাষ্ট্রদূতের সাথে মঈন খানের বৈঠক বীর মুক্তিযোদ্ধারা চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে : অ্যাডভোকেট জুবায়ের ভারতীয় চলচ্চিত্রে বাংলাদেশকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন! স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক, প্রকৃত ইতিহাস লেখা হয়নি: বদরুদ্দীন উমর রাজশাহীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২ কর্মী গ্রেফতার জামায়াত নেতা ড. তাহের সম্পর্কে সাংবাদিক ইলিয়াসের মন্তব্যের প্রতিবাদ

সকল