ঘূর্ণিঝড়ে রেমাল : মির্জাগঞ্জে কৃষিখাতে দেড় কোটি টাকার ক্ষতি
- উত্তম গোলদার, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)
- ২৯ মে ২০২৪, ১০:৪০
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে আউশের বীজতলা, মুগ, মরিচ, চিনাবাদাম ও বিভিন্ন প্রকারের সবজি ও নানা প্রজাতির বাগানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, মির্জাগঞ্জে কৃষিখাতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ এক কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলেও জোয়ারের পানি ও বৃষ্টির কারণে ফসল ডুবে যাওয়া ও নুয়ে পড়ায় দুশ্চিন্তায় কৃষকরা। পাশাপাশি আউশের বীজতলা ও বিভিন্ন প্রকারের সবজি ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: তারিকুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ক্ষতি থেকে পরিত্রাণের জন্য সচেতনতামূলক মাইকিং ও আগাম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। তবে কৃষিপণ্যের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আনোয়ার হোসেন খান জানান, দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নে পায়রা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফলে এ এলাকায় কৃষিক্ষেতসহ শাকসবজির ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রবি শস্যের ক্ষতি হয়েছে বেশি। ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে উপজেলার সহস্রাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপজেলার পূর্ব সুবিদখালীর গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় পাঁচ শতক জমির শসা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে। কাকড়াবুনিয়ার গ্রামের কৃষক রবি মিস্ত্রির ১০ শতক জমির আউশের বীজতলা সম্পূর্ন নষ্ট হয়েছে। এবারে যে জমিতে আউশধান আবাদ করব সে সুযোগও নেই। আর বীজকরার মতো সময়ও নেই। বীজ পাওয়া গেলে বেমি দামে কিনে রোপণ করতে হবে।’
ঘূর্ণিঝড়ে কৃষিখাতের ক্ষতি সম্পর্কে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো: নাহিদ হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে উপজেলার কৃষিতে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে জেলায় পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপজেলায় মুগডাল চাষ করা পাঁচ হাজার ২০০ হেক্টর জমির মধ্যে ক্ষতি হয়েছে ৮৫ হেক্টর, মরিচ ৩৮০ হেক্টর জমির মধ্যে ক্ষতি হয়েছে ১২ হেক্টর, চিনাবাদাম ১২০ হেক্টরের মধ্যে ক্ষতি হয়েছে ছয় হেক্টর, আউশধানের বীজতলা ৬৩০ হেক্টরের মধ্যে ক্ষতি হয়েছে ১৮০ হেক্টর, পানের বরজ পাঁচ হেক্টর সম্পূর্ণ ক্ষতি ও সবজি ৩২০ হেক্টর জমির ক্ষতি হয়েছে ১৯২ হেক্টর জমির ফসল। উপজেলায় মোট কৃষিখাতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ এক কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এখনো জমিতে মুগ, বাদাম, মরিচসহ বিভিন্ন প্রকারের সবজি রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে জোয়ারের পানি ও একটানা বৃষ্টির কারণে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ-ঘাটে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মাঠে যেসব ফসল এখনো রয়েছে তা নষ্ট না হওয়ার আগে তুলে ফেলার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা