ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে লণ্ডভণ্ড চরফ্যাশনের উপকূলীয় অঞ্চল
- কামরুজ্জামান, চরফ্যাশন (ভোলা)
- ২৮ মে ২০২৪, ১৮:৩০, আপডেট: ২৮ মে ২০২৪, ১৮:৩২
প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে লণ্ডভণ্ড উপকূলীয় উপজেলা চরফ্যাশন। গবাদি পশু, ফসলী জমি, মাছের ঘেড়, বেড়িবাঁধ, কাঁচা পাকা, হেরিংবন রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া ঝড়ের তাণ্ডবে অর্ধ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। সরকারি বেসরকারিভাবে এতে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ শত কোটি টাকা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ইতোপূর্বে ঘটে যাওয়া সকল ঘূর্ণিঝড়ের চেয়ে এবারের ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব ছিল নজিরবিহীন। দুদিনব্যাপী উপকূলজুড়ে রেমাল তাণ্ডব লীলা চালালে কোনো মানুষ না মারা গেলেও ক্ষতির পরিমাণ ছিল অতীতের তুলনায় রেকর্ড। ঝড়ে চরাঞ্চলে প্রায় ১০ হাজার বসতঘর উপড়ে পড়েছে।
ঘুর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্ন চর ঢালচর, চর নিজাম, চর ফারুকি, মুজিব নগর, চর কুকরি মুকরি, শিকদারের চর, চর হাসিনা, চরপাতিলাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১০ হাজারের অধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
এই তথ্য নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নওরীন হক। তবে এখন পর্যন্ত প্রশাসন থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হয়নি। আনুমানিক ছয় হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হতে পারে বলে ইউএনও গণমাধ্যমে জানান।
উপজেলার বিচ্ছিন্ন ভুখণ্ডে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে গবাদি পশু নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে কৃষকরা। জোয়ারের পানির অস্বাভাবিক উচ্চতার কারণে তলিয়ে গেছে মৎস্য খামারিদের প্রায় ৩০ লাখ টাকার মাছ। এতে করে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ প্রায় শত কোটি টাকা বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। রেমালের আঘাতে ঘরবাড়ি বিধস্থ হয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। দুর্যোগের মধ্যে স্বাভাবিক কাজ কর্ম না থাকায় খেটে খাওয়া মানুষেরা আর্থিক সঙ্কটে জীবনযাপন করছে। রাজধানীর সাথে লঞ্চ যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনো বিচ্ছিন্ন আছে। স্থানীয় বিভিন্ন চরাঞ্চলের সাথেও যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে বিচ্ছিন্ন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে দেখা যায় দেখা গেছে ঝড়ের প্রভাবে রাস্তার পাশে গাছপালা পড়ে থাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ২০ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। কৃষি বিভাগ এখনো ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত তালিকা নিরুপণ করতে পারেনি। বৃষ্টি কমলে মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের কর্মীরা কৃষকের ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়ন করবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নওরীন হক বলেন, ঘূণিঝড় রেমালের আঘাতে চরফ্যাশনে প্রায় ছয় হাজার ঘরবাড়ি বিধস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসন থেকে বরাদ্দকৃত শুকনো খাবার অসহায় পরিবারদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় ১০ হাজার ঘর বাড়ি ও শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালে চরফ্যাশনে পাঁচ হাজার মিটার ও মনপুরায় ১৬৫ মিটার বেরিবাধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় স্বাভাবিক হলে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ রক্ষণাবেক্ষনের কাজ শুরু করা হবে। এছাড় দৃষ্টিনন্দন প্রশান্তি পার্ক এলাকায় ব্লক দেবে যাওয়ায় দ্রুত রক্ষায় জরুরি মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা