তালতলীতে ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
- তালতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা
- ২৮ মে ২০২৪, ১৬:৩৫
বরগুনার তালতলীতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে টানা বর্ষণ ও অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি মানুষের এখন চরম খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এছাড়া টানা ৭২ ঘণ্টারও বেশি সময় বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে পুরো উপজেলা।
জানা গেছে, পল্লিবিদ্যুতের বিভিন্ন সঞ্চালন লাইনের ওপরে ঘরবাড়ি ও গাছের ডালপালা উপড়ে পড়লে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এক দিকে পানিবন্দি অন্যদিকে অন্ধকারে নিমজ্জিত হওয়ার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে এ উপজেলার জনসাধারণ।
রোববার থেকে সোমবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া জোয়ারে ও টানা বর্ষণের কারণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন মানুষ। রোববার থেকে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত এ উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন আছে। মোবাইল নেটওয়ার্কও বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ তালতলী কার্যলয়ের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার বলেন, পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অধীনে এ উপজেলায় ২৭ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন। প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ে ৩০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে। সেইসাথে একাধিক ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও ৬ শতাধিক গাছ ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। এর ফলে এ উপজেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যুৎকর্মীরা এসব লাইন মেরামত ও খুঁটি বসানোর কাজ শুরু করেছেন।
অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে এ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে টানা বর্ষণের কারণে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। এসব এলাকার মানুষের বাড়ি-ঘর তলিয়ে গেছে। প্রায় বাড়িতে রান্না ঘর পরে গেছে। বসত ঘর তলিয়ে ঘরের ভেতর পানি ঢুকে পরেছে। হাঁস-মুরগি, গবাদি পশু নিয়ে চরম বিপাকে পরেছে মানুষ। এর কারণে এসব পানিবন্দি মানুষের খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সঙ্কট, মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কায় রয়েছেন।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ারা তুমপা বলেন, এই উপজেলায় ৭২ ঘণ্টারও বেশি সময় বিদুৎ সংযোগ নেই। অনেক জায়গায় গাছপালা উপড়ে পড়েছে এগুলো গতকাল ভোররাত থেকে আমি নিজে গিয়ে লোকজন নিয়ে সড়ক ও নৌ-পথ সচল করতে কাজ করে সফল হয়েছি।
তিনি আরো বলেন, ক্ষতির পরিমাণ এখনো পাওয়া যায়নি তবে অনেক বেশি। অসংখ্য বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। আমরা সব দিকে কাজ করে যাচ্ছি।
পানিবন্দি মানুষের বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা