১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

মুলাদীতে ডা. ভুলু সেতুতে ভ্রমণ পিপাসুদের উপচে পড়া ভিড়

-

বরিশালের মুলাদী ডাঃ ভুল সেতু ও তার চারপাশে ভ্রমণ পিপাসুদের উপচে পড়া ভিড়। নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা তিন উপজেলার হাজার হাজার মানুষের ঈদ ও ঈদ পরবর্তী পুনর্মিলনী কেন্দ্র হিসেবে সেতু বন্ধুন করে দিয়েছে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক ভুলু সেতুটি।

জানা গেছে, ১ হাজার ৩৭৭ ফিট সেতুটি মুলাদী, হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ ও কাজিরহাট থানার হাজার হাজার বিভিন্ন বয়সী ভ্রমণ পিপাসুদের মিলন মেলায় মুখরিত হয়ে উঠে।

ভ্রমণ পিপাসুদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক রয়েছে পুলিশি টহলের ব্যবস্থা।

সেতুটিতে সকল বয়সী নারী-পুরুষের মিলন মেলায় শহুরে জীবনের যেকোনো পার্কের চেয়ে এটি ছিল অনেকের কাছেই আকর্ষণীয় উপভোগ্য একটি স্থান। এখানে শিশু থেকে বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাদের সন্তানেরা। তবে, স্থানীয়ভাবে চিত্ত বিনোদনের কোনো সুযোগ ও পরিবেশ না থাকায় বিশেষ করে শিশুদের বিনোদনের জন্য পরিবারের সদস্যরা তাদের ছেলে-মেয়েদের ইচ্ছে পূরণের জন্য এক বারের জন্য হলেও উপভোগ করেছেন ডাঃ ভুলু সেতুটি।

সেতুটির উপর উঠলে চারিদিকের বাতাসে গরম শরীরকে শীতল করে ফেলে। প্রকৃতির শোভা উপভোগ করে সকাল ও বিকেল গড়িয়ে গভীর রাত পর্যন্ত সময় কাটানোর সকল উপাদান রয়েছে এখানে। প্রকৃতির নির্মল বাতাস, খোলা আকাশে মেঘের ভেলায় আত্মহারা হয়ে ভেসে চলেছেন যে যার স্বপ্নের গন্তব্যে। ভ্রমণ পিপাসুদের সকল সুবিধা না থাকলেও আনন্দ উপভোগের কমতি ছিল না আগত ভ্রমণ পিপাসুদের। ভ্রমণ পিপাসুদের পদচারণায় সেতুটির রূপ লাবণ্য বেড়ে যায় শত গুণে।

সেতুটির উপরে উঠলে মুলাদী বন্দরে বড় বড় অট্টালিকা, উন্নতমানের দোকানপাট, লঞ্চ ঘাট, সেতুটির পশ্চিম পাশের দক্ষিণ দিকে রয়েছে পূর্ববাজার বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদ। দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যময় এই মসজিদের দিকে তাকালেই নয়ন জুড়িয়ে যায়। মসজিদের সাথেই রয়েছে তোজম আলী কবর স্থান। খর স্রোত নদীটি ওনার কবরের কাছে এসেই থেমে যায়। তাই ভ্রমণ পিপাসুরা সেতু ভ্রমণ করতে এসে কবরটি দেখে যান।

এছাড়াও পূর্ব পাশের স্থানীয় যুব-সমাজ পর্যটকদের আনন্দ দেয়ার জন্য আয়োজন করে থাকে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা। শুধু সেতুটির উপর হেঁটেই আনন্দ উপভোগ করে তাই নয়। নৌকা অথবা ট্রলার নিয়ে সেতুটির নিচ দিয়ে নয়া ভাঙ্গনি নদীতে ভ্রমণ করে আনন্দ উপভোগ করে। সেতুটির পূর্বে পাশে রয়েছে বিশাল বালুর মাঠ। স্থানীয় যুব-সমাজ মাঠটিতে বিকেল বেলা আয়োজন করে বিনোদন দেয়ার জন্য ট্রেন ভ্রমণ বিভিন্ন আনন্দদায়ক অনুষ্ঠান। সেতুর দুই পাশে রয়েছে ভ্রমণ পিপাসুদের নাস্তার জন্য হরেক রকমের ফুচকার দোকান ও আধুনিক মানের দারুচিনি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট।

ভ্রমণ পিপাসুরা ভ্রমণের জন্য সেতুটি বেছে নিলেও রয়েছে অনেক ঝুঁকি।

পর্যটক মোঃ রফিউর রহমান ও মোঃ আহনাফ রহমান বলেন, ‘হাজার মানুষের মাঝেও সেতুটির উপর দিয়ে চলাচল করে শতশত যানবাহন। কখন কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যায় বলা যায় না। তাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ভ্রমণ পিপাসুদের দাবি একটি নির্দিষ্ট পার্কের ব্যবস্থা করা হলে নিরাপদে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ করা যেত।’


আরো সংবাদ



premium cement