এমটিএফই সিইওসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলা
- বরিশাল ব্যুরো
- ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২৩:৫০

মেটা ভার্স ফরেন একচেঞ্জ গ্রুপের (এমটিএফ) নামধারী ছয় সিইওসহ অজ্ঞাত আরো ২০ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি বিকেলে নিশ্চিত করেন বেঞ্চ সহকারী নুরুল ইসলাম কাকন। এর আগে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে রোববার ওই মামলা করেন ভুক্তভোগী ইউসুফ আলী।
মামলার বাদি ইউসুফ নগরীর ব্রাউন্ড কম্পাউন্ড রোডের বাসিন্দা হামিদ গাজীর ছেলে।
আসামিরা হলেন, নগরীর বান্দ রোডের নুরজাহান মঞ্জিলের বাসিন্দা মিজানুর রহমান (৪৮), তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (৩৮), নগরীর সিএন্ডবি রোডের বাসিন্দা সালাম সরদারের ছেলে নোমান আহম্মেদ সরদার (৩০), নগরীর বিএম কলেজ এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন সরদারের ছেলে মিলন হোসেন বাদশা (৪৮), মিলনের স্ত্রী মাহমুদা বেগম (৪০) ও ছেলে অলিউল ইসলাম (৩০)।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক মামলা গ্রহণ করে আদেশের জন্য অপেক্ষমান রেখেছেন।
কানন জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে ছদ্মবেশধারণ করে ইলেকট্রনিক্স প্রতারণার মাধ্যমে অর্থের ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিরা মাফিয়াসহ জাল-জালিয়াতি চক্রের সদস্য।
তিনি আরো বলেন, এমএলএম-এর আদলে ই-লেনদেনের মাধ্যমে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেয়। মামলার বাদিসহ ১০ স্বাক্ষীর সাথে পূর্বপরিচিত হওয়ায় তাদের বরিশাল নগরীর বিভিন্ন নামীদামী হোটেলে নিয়ে ই-লেনদেনের মাধ্যমে ব্যবসা করে লোভনীয় ও আকর্ষণীয় লাভ করিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেয়। আসামিদের প্রলোভনে সাড়া দিয়ে মিজানুর রহমান বাচ্চু ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের প্রমোকোডের মাধ্যমে বাদিসহ ১০ জন সাক্ষীর নামে একাউন্ট খোলে।
আসামিরা নিজেদের অর্থায়নে কিছু ডলার জমা করে প্রলুদ্ধ করে। প্রলোভনের ফাঁদে সারা দিলে বাদিসহ ১১ জন গত ১ মে থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা জমা করে। গত ১২ আগস্ট বাদিসহ ১১ জন আসামিদের কাছে গিয়ে টাকা উত্তোলনের জন্য নগরীর সিএন্ডবি রোড ফারজানা কমিউনিটি সেন্টারে নোমান আহম্মেদের সেবা অনলাইনের অফিসে যায়। সেখানে যাওয়ার পর নামধারী ছয় আসামি জানিয়েছে সফটওয়ার আপডেটের কারণে ডলার উঠানো সম্ভব হচ্ছে না। আগামী সপ্তাহে লভ্যাংশসহ উত্তোলন করা যাবে। গত ১৮ আগস্ট রাতের মধ্যে বাদিসহ ১১ জনের সকল তথ্যে ইলেকট্রনিক্স মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলে।
পরদিন ১৯ আগস্ট সেবা অনলাইনের অফিসে গেলে আসামিরা জানান, নোমান সব টাকা উত্তোলন করে এমটিএফ’র প্রধান সিইও মাসুদের কাছে দুবাই চলে গেছে। সে ফিরে এলে টাকা ফেরত দেয়া হবে। গত ২০ আগস্ট নোমানকে পেয়ে ফের টাকা চাইলে জানায় টাকা বিদেশীরা নিয়ে গেছে। পরে আসামিরা টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে। আসামিরা পরিকল্পিতভাবে প্রতারণার উদ্দেশে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে নগদ টাকা নিয়ে ডলারে রূপান্তর দেখিয়ে আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ মামলার বাদির।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা