জামালপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগদান ও পদায়ন বাণিজ্য জমজমাট
- খাদেমুল বাবুল জামালপুর
- ১৩ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
জামালপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন খানের বিরুদ্ধে নতুন শিক্ষকদের যোগদান বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, চলতি বছর জেলার সাত উপজেলায় ৩২৫ জন শিক্ষক (রাজস্ব) ও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ পান। এসব নতুন শিক্ষকের যোগদান, পদায়ন ও বদলির বিষয়ে সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ওই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২০ জুনের মধ্যে মেলান্দহ উপজেলায় রাজস্ব খাতে ১৩ জন শিক্ষকের জেলা অফিসে যোগদানের কথা থাকলেও যোগদান করেন ১২ জন শিক্ষক। আসমাউল হুসনা নামে অপর একজন শিক্ষক কর্মক্ষেত্রে যোগদান করেননি। পরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেনকে মোটা অঙ্কের টাকা উৎকোচ দিয়ে গত ২৫ জুন তিনি কর্মক্ষেত্রে যোগদান করেন।
অভিযোগে জানা যায়, মোফাজ্জল হোসেন খান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অফিসার হিসেবে যোগদানের পর থেকে শিক্ষক নিয়োগে মৌখিক পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাইয়ে দিতে পরীক্ষার্থীর কাছে থেকে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত উৎকোচ নিয়েছেন।
এ ছাড়া তিনি নতুন নিয়োগকৃত শিক্ষকদের ভালো এবং সুবিধাজনক স্থানে পদায়নের সুযোগ করে দেয়ার কথা বলে আরো দুই শতাধিক শিক্ষকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে গত ৮ জুলাই মঙ্গলবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন খানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা