১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সৈয়দপুরে সড়ক সংস্কারের নামে আবারো লোকদেখানো কাজ

-

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের দীর্ঘ আট বছর ধরে চলাচলের অযোগ্য বেহাল সড়ক সংস্কারের নামে আবারো লোকদেখানো কাজ শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। কোনো প্রকার দরপত্র আহ্বান ছাড়াই সম্পূর্ণ ব্যবহার অযোগ্য ইট আর বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে রাস্তাজুড়ে সৃষ্ট বড় বড় গর্ত। ইতঃপূর্বেও ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এমন কাজ করা হয়েছিল, যা মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই খোয়া উঠে আগের চেয়েও দুরবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন শহরের গোলাহাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ওয়াপদা মোড় থেকে তামান্না মোড় পর্যন্ত চার কিলোমিটার দীর্ঘ শেরেবাংলা সড়কের সংস্কারকাজ চলছে। অত্যন্ত নিম্নমানের খোয়া আর বালু দিয়ে গর্তগুলো ভরাট করে তার উপর রোলারের চাপ দেয়ায় খোয়াগুলো গুঁড়ো হয়ে মাটিতে পরিণত হচ্ছে।
পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর শাহিন হোসেন বলেন, আমি নিজে দেখেছি ২ ও ৩ নম্বর ইটের খোয়া দিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

অটোরিকশাচালক খোকন বলেন, পাঁচ-ছয় বছর ধরে এই রাস্তাটির বেহাল দশা। দুর্ঘটনা আর গাড়ি নষ্ট হওয়া তো প্রাত্যহিক ব্যাপার। ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, আবারো তামাশার কাজ শুরু করা হয়েছে। এভাবে কাজ করে কী লাভ?
কমিউনিস্ট পার্টির সৈয়দপুর উপজেলা সভাপতি ও নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ম আ শামিম বলেন, পৌর এলাকার প্রায় ৯০ ভাগ সড়কই ভাঙাচোরা। এর মধ্যে চারটি রাস্তা একেবারে বেহাল। আর শেরেবাংলা সড়ক তো পরিত্যক্ত রাস্তায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু মেয়র আগের মতোই লুটপাটে মত্ত।
সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন বলেন, আমরা লজ্জিত। পৌর মেয়র রাফিকা আকতার বেবী সাড়ে তিন বছরে কোনো উন্নয়নকাজ উপহার দিতে পারেননি।
মেয়র রাফিকা আকতার বেবীকে পৌরসভায় না পেয়ে তার মোবাইল ফোনে অসংখ্যবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনের এমপি সিদ্দিকুল আলম বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই সৈয়দপুর শহরের শেরেবাংলা সড়ক ও জহুরুল হক সড়ক সংস্কার করা হবে। বরাদ্দ পাওয়া গেছে।


আরো সংবাদ



premium cement