নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় যাত্রী দুর্ভোগ
নলডাঙ্গায় রেলওয়ের প্ল্যাটফর্ম- শহিদুল ইসলাম শাহিন সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা)
- ১০ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
লালমনিরহাট ডিভিশনের আওতাধীন গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মের উঁচু ও বর্ধিতকরণ কাজ দীর্ঘদিনেও শেষ না হওয়ায় যাত্রী সাধারণকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে ওঠানামা করতে হচ্ছে। তবে এ পরিস্থিতির জন্য ঠিকাদার ও তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। চুক্তিপত্র অনুযায়ী প্ল্যাটফর্মটির নির্মাণ কাজ ৫ মাস ২০ দিনে শেষ করার কথা। কিন্তু এ পর্যন্ত ৪০ থেকে ৫০ ভাগ কাজ করা হয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা। গত বছরের ২৯ আগস্ট সাবেক রেলপথমন্ত্রী আ্যডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন এ কাজের উদ্বোধন করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগের প্রকৌশলী বিভাগের বাস্তবায়নে ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে নলডাঙ্গা রেলস্টেশনের নতুন প্ল্যাটফর্ম ও বাউন্ডারি নির্মাণ কাজ পায় চুয়াডাঙ্গার জীবননগর জাকাউল্লাহ ব্রাদার্স লিমিটেড নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। উদ্বোধনের ১৫-২০ দিন পর কাজ শুরু করে এ পর্যন্ত শুধু প্ল্যাটফর্মের চারিদিকে নির্মাণ কাজ করে আর ভিতরে বালু ভরাট করেই ঠিকাদার লাপাত্তা হয়ে যায়।
নলডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন সরকার বলেন, ঠিকাদার লাপাত্তা হওয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট কাজে তদাকির দায়িত্বে নিয়োজিত রেলওয়ের কর্তা ছোট এবং বড় বাবুদেরও আর দেখা মেলেনি। ঠিকাদার যা-ই করুক রেলওয়ের কর্তৃপক্ষ এ অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার দায় এড়াতে পারে না।
স্থানীয়রা জানান, নির্মাণাধীন প্ল্যাটফর্মের বিভিন্ন স্থানে উঁচু নিচু ও খাদের সৃষ্টি হওয়ায় ট্রেনে উঠানামা করতে গিয়ে অনেক যাত্রী হোঁচট খেয়ে হাত, পা, নাক, মুখ, মাথা ও কপালে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ছাড়া প্ল্যাটফর্মে ভরাটকৃত ধুলোবালি বাতাসে গোটা স্টেশনের চারিদিকে ছড়িয়ে একাকার। বিশেষ করে শিশু ও বয়োবৃদ্ধ যাত্রীদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। শুধু তাই নয়, সিগন্যাল ঘরের সাথেই তার সংযোগের প্ল্যাটফর্মের মাঝামাঝি প্রায় দৈর্ঘ্য ১৫ ফিট এবং প্রস্থ ৮ ফিট জায়গা ফাঁকা রেখেই কাজ বন্ধ করে দেন ঠিকাদার।
দুর্ঘটনার শিকার কাপড় ব্যবসায়ী মিন্টু মিয়া দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, প্ল্যাটফর্ম দিয়ে রাতে বাড়ি ফেরার সময় ফাঁকা ওই স্থানে পা পিছলে পড়ে পায়ের হাড় ভেঙে গিয়েছিল। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে এখন একটু সুস্থ।
এভাবে প্রতিনিয়ত ঘটতে থাকা দুর্ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে স্থানীয় হাবিজার রহমান এসব ঘটনার চিত্র তুলে ধরে ঠিকাদারের ম্যানেজার মোত্তালেব হোসেনকে জানালে তিনি ঝুঁকিপূর্ণ ওই জায়গা কাঠের ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেয়। বর্তমানে ঢাকনাও নড়বড়ে হয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে জানতে বামনডাঙ্গা আই ডব্লিউর কর্মকর্তা ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীকে একাধিক বার ফোন দেয়া হলেও তারা ফোন ধরেননি।
তবে ঠিকাদারের ম্যানেজার মোত্তালেব বলেন, ইতোমধ্যে প্ল্যাটফর্মের ৭০ ভাগ কাজ করা হয়েছে। আর আমরা কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি করে নিয়েছি। ফান্ড পেলেই দ্রুত কাজ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগীয় প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, বৈরি আবহাওয়ায় কাজ করা সম্ভব হয়নি। আবহাওয়া অনুকূলে এলেই দ্রুতই কাজ শেষ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা