দেবিদ্বারে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে যাত্রীদের আতঙ্ক
- ফখরুল ইসলাম সাগর দেবিদ্বার (কুমিল্লা)
- ০৬ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় গোমতী নদীর ওপর নির্মিত দেবিদ্বার-খলিলপুর সংযোগ সেতুর দুই পাশের ফুটপাথের রেলিং না থাকায় চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা। যে অংশে রেলিং আছে সেগুলোও জরাজীর্ণ। দিনে আতঙ্ক নিয়ে যানবাহন চললেও রাতে চলে না। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন নদী পার হন এপার ওপারের ২৫টি গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। ১৫ বছর ধরে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আর তাই দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, ২০০৫ সালে সেতুটি নির্মিত হয়। দৈর্ঘ্য ১৩০ মিটার। নির্মাণকালে ত্রুটির কারণে সেতুর মাঝের অংশ তখনই দেবে যায়। এ অবস্থায় নির্মাণকাজ শেষ দেখিয়ে বিল উত্তোলন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। উদ্বোধনের দুই বছর পর থেকে ভাঙতে শুরু করে সেতুর ফুটপাথের রেলিং, যা ১৫ বছরেও সংস্কার করা হয়নি।
খলিলপুর প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম মুন্সি বলেন, দু’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত এ সেতু পারাপার হয়। সেতুতে দু’টি গাড়ি ক্রস করতে গেলে বিপাকে পড়েন পথচরীরা। রেলিং না থাকায় যেকোনো সময় অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটতে পারে।
ফতেহাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মাসুদ বলেন, উপজেলার দুইটি ইউনিয়নসহ আমাদের উপজেলার সাথে পার্শ্ববর্তী বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার কিছু এলাকার সাথে সড়ক যোগাযোগের মাধ্যম এ সেতু। বিশেষ করে বালিবাড়ি, হামলাবাড়ি, বারেরারচর, খলিলপুর, আশানপুর, জয়পুর, কামারচর, হেতিমপুর, নূরপুর, বড়কান্দা ও বুড়িরপাড়সহ প্রায় ২৫ গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ ঝুঁকি নিয়ে এ সেতু পার হন। সেতুর রেলিং নির্মাণ ও সংস্কার অত্যন্ত জরুরি।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চন্দ্র সরকার জানান, খলিলপুর সেতু সংস্কার বিষয়ক প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। আশা করি, শিগগিরই কাজ শুরু হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা