১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

লক্ষ্মীপুরে বটতলী-দত্তপাড়া-কচুয়া সড়ক খালে পরিণত, কর্তৃপক্ষ চুপচাপ

-

জেলার সদর উপজেলার বটতলী-দত্তপাড়া-কচুয়া সড়ক ভেঙেচুরে খালে পরিণত হয়েছে। ফলে সড়কটিতে প্রতিদিন চলাচলকারী হাজারো মানুষ অবর্ণনীয় কষ্ট ভোগ করছে। তা ছাড়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যানসহ নানা যানবাহন উল্টে যাচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কে জেলা শহরের অদূরে বটতলী থেকে জেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকা আলাদাদপুর, মুসলিমাবাদ, দত্তপাড়া, বশিকপুর, জেলার রামগঞ্জ উপজেলা ও নোয়াখালী জেলার চাটখিলসহ কুমিল্লা জেলার দিকে হাজারো মানুষ যাতায়াত করে। এসব এলাকার গুরুত্বপূর্ণ অন্তত ২৫-৩০টি বাজারে খাদ্য সামগ্রীসহ বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করা হয় এ সড়কে। এ সড়ক দিয়ে আশপাশে নামী-দামি স্কুল, কলেজ, মাদরাসার হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর কাদা পানিতে ভিজে দুর্ঘটনায় পড়ে চলাচল করতে হয়। এ সড়ক দিয়ে রোগীরা চিকিৎসার জন্য জেলা শহর ও নোয়াখালী জেলার চৌমুহনী-মাইজদীসহ বিভিন্ন হাসপাতালে প্রতিদিন যাতায়াত করতে গিয়ে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে যায়।
দত্তপাড়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক আবুল হাসানাত বলেন, দুই বছরের বেশি সময় এ সড়কের দুরবস্থা চলছে। সুস্থ মানুষ এ সড়কে চলতে চলতে অনেক অসুস্থ হয়ে যায়।
একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রেহেনা পারভিন বলেন, এ সড়কে আমরা অর্ধশত নারী শিক্ষিকা প্রতিদিন আসা যাওয়া করতে হয়। এদের অনেকই জয়েন্ট ব্যথার রোগী হয়ে গেছে। জীবিকার তাগিদে আসতে হয় আর পারি না, আমার মতো অনেকেরই মন চায় চাকরি ছেড়ে দিতে।
এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি আবু ইউসুফ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি এলজিইডির দায়িত্বে থাকায় এ দুরবস্থা। এরা নিম্নমানের রাস্তা তৈরি করে, নষ্ট হয়ে গেলে কখনো ন্যূনতম সংস্কার পর্যন্ত করে না। এ সড়কটি সওজ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করার দাবি এলাকাবাসীর।
সম্প্রতি দত্তপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন জানান, রাস্তা যত বছরের জন্য নির্মাণ করা হয় তার মেয়াদ এখনো শেষ হয়নি।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে এলজিইডি লক্ষ্মীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলীকে তার কার্যালয়ে গিয়ে পাওয়া যায়নি। একাধিক দিন বার বার মোবাইলে ফোন দিলে রিং হলেও তিনি রিসিভ করেননি।


আরো সংবাদ



premium cement