দেওয়ানগঞ্জ-গোলাবাড়ি সড়ক নদীতে বিলীন
- খাদেমুল বাবুল জামালপুর
- ০৪ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নের দেওয়ানগঞ্জ-গোলাবাড়ি সড়ক যমুনা নদীতে বিলীন হওয়ায় অন্তত ১০ গ্রামের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ওই ১০ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। গত মঙ্গলবার রাতে সড়কটি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ।
জানা গেছে, উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে দেওয়ানগঞ্জের চিকাজানি ইউনিয়নে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ভাঙন রোধে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি ভাঙন ঠেকাতে সমন্বিত সমীক্ষা প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, এক মাস আগেও এখানে একটি সড়ক ও দুই শতাধিক ঘর-বাড়িসহ কয়েক ’শ একর ফসলি জমি ছিল। বর্তমানে এর কিছুই নেই। শুধু অথই পানি। ঘরবাড়ি-ভিটামাটি ও ফসিল জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে দুই শতাধিক পরিবার।
যমুনার তীব্র স্রোতে উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নের চর ডাতাকিয়া, কাজলাপাড়া, পলাশপুর, জালিপাড়াসহ মাঝিপাড়া গ্রামের ৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দেখা দিয়েছে যমুনার তীব্র ভাঙন। ইতোমধ্যে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদরাসা, ডাকাতিয়া গুচ্ছগ্রাম, আদর্শ গ্রামসহ ১০টি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
ইসলামপুর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের সিন্দুরতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ পাঁচশতাধিক ঘরবাড়ি যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। বেলগাছা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া ইসলামপুরের নোয়ারপাড়া, মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নে পাকরুল, সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনার চর, আওনা ইউনিয়নের বনছার চর, নিলকুটির ও পিকনা ইউনিয়নের নলসন্ধা এলাকায় যমুনার তীব্র ভাঙন চলছে ।
এ দিকে জিনজিরাম, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র ও দশআনী নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চর গাজীরপাড়া, কতুবের চর, শেকপাড়া, আইরমারী খানপাড়া, বাংগালপাড়া, পূর্ব কলকিহারা গ্রাম। এরই মধ্যে বিলীন হয়েছে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের কুতুবের চর জামে মসজিদ, বসতভিটা, ফসলি জমি, রাস্তাঘাট। হুমকিতে পড়েছে কুতুবের চর প্রাথমিক বিদ্যালয়।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে বলেন, বরখাল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দেলোয়ার হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় রক্ষায় ২০০ মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এছাড়া যমুনার বাম তীর সংরক্ষণে সমীক্ষা প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন আছে।
এদিকে পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে জামালপুরের সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলাবাসীর মধ্যে বন্যা আতঙ্ক বিরাজ করছে ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা