১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

হাঁস পালনে দিনবদল রবিউলের

-

তরুণ উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম। নিভৃত গ্রামাঞ্চলে বসবাস। এক সময়ে নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থায় ছিল তার। আর এই দরিদ্রের কষাঘাত থেকে রেহাই পেতে শুরু করেন হাঁস পালন। উন্মুক্ত জলাশ্বয়ে এই হাঁস পালনে এখন দিনবদল হয়েছে পঁয়ত্রিশ বছরের রবিউলের। সম্প্রতি সরেজমিনে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বড় ছত্রগাছা হাতিছালা বিলে দেখা যায়- রবিউল ইসলামের পালিত সহস্রাধিক হাঁস দলবেঁধে ভাসছে।

জানা যায়, বড় ছত্রগাছা গ্রামের নজমাল হোসেন ব্যাপারীর ছেলে রবিউল ইসলামের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। সংসার চালাতে অনেক হিমশিম খেতে হচ্ছিল তাকে। এমনি একপর্যায়ে স্থানীয় কয়েকটি হাঁসের খামার অনুসরণ করেন তিনি। প্রথমে তিন বছর আগে সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা থেকে খাকিক্যাম্বেল জাতের ৫০০ পিস হাঁসের বাচ্চা কিনে বাড়িতে খামার শুরু করেন। এ থেকে তিনি লাভের মুখ দেখেন। এরপর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। হাঁস বিক্রির লাভের টাকা দিয়েই সুখে চলছে তার সংসার।

উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম জানান, প্রশিক্ষণ ছাড়াই হাঁসের খামার গড়ে তুলেছেন তিনি। কঠোর পরিশ্রম আর দৃঢ় মনোবল নিয়ে খামারটি পরিচালনা করে চলেছেন। বাচ্চা কিনে তিন মাস পরপর হাঁসগুলো বিক্রি করেন। এতে খরচ বাদে প্রায় লাখ টাকা লাভ থাকছে তার।

তিনি আরো বলেন, এক সময়ে স্ত্রী-সন্তানের মুখে তেমন অন্ন জোগাতে পারিনি। এখন হাঁসের খামার করে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। দেশের সিলেট, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলার ডিম উৎপাদনকারী খামারিরা হাঁসগুলো কিনে নিয়ে যায়। সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: সিরাজুল ইসলাম জানান, যে কোন কাজ পরিকল্পিভাবে করলে অবশ্যই সফল হওয়া সম্ভব। উদ্যোক্তা রবিউল ইসলামকে লাভবান করতে সহযোগিতা করা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement