১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কাউখালীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কমছে

বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা বর্তমানে মাদরাসা শিক্ষায় ঝুঁকে পড়ছে
-

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন শিক্ষার্থীরা বর্তমানে মাদরাসা শিক্ষায় ঝুঁকে পড়ছে। এ কারণে আগের তুলনায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। বিভিন্ন এলাকার অভিভাবকরা সন্তানদের ইসলাম শিক্ষা দিয়ে পরবর্তী সময় বিদ্যালয়ে ভর্তি করাচ্ছেন।
জানা গেছে, এ উপজেলায় প্রায় অর্ধশত নূরানী মাদরাসাসহ হাফিজি, কওমি ও নূরানী হেফজখানা রয়েছে। এগুলো নিজস্ব তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে আসছে। এ সকল প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা নিজেরা টাকা দিয়ে পড়াশোনা করছে।
নূরানী মাদরাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো: নুরুজ্জামান, নাসরিন বেগম ও খাদিজা খাতুন বলেন, সন্তান মাদরাসায় দিয়েছি। বাংলা, ইংরেজি, অংক, আরবি ও সাধারণ জ্ঞান ভালোভাবে জানবে তারপর আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করিয়ে দিব। অভিভাবকরা বলেন নূরানী মাদরাসার শিক্ষকরা নিয়মিত শিশুদের পাঠদান করেন ও বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর রাখেন।
উপজেলার উজিয়াল খান নূরানী তালিমুল কুরআন মাদরাসায় পেলে থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে, নাঙ্গুলী নূরানী মাদরাসায় ১৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
কাউখালী সদরে অবস্থিত আশরাফুল উলুম মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা মো: মহিবুল্লাহ বলেন, তার মাদরাসায় পেলে থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত মোট ১৭০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
এ দিকে কাউখালী উপজেলার মুক্তার কাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা মাত্র ৩০ জন এবং জব্দকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা মাত্র ২০ জন। অথচ প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকরা সরকারিভাবে বেতনসহ বিভিন্ন ভাতা পাচ্ছে আর অন্য দিকে নূরানী শিক্ষার্থীরা টাকার বিনিময়ে ক্লাসে লেখাপড়া করেন।
শিক্ষক নেতা হাবিবুল্লাহ ফকির বলেন, আমরা বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী বাড়াবার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুনিবুর রহমান বলেন, করোনাকালীন প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ছিল ও নূরানী মাদরাসা খোলা ছিল তখন অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের নূরানী মাদরাসায় ভর্তি করেছে। বেশির ভাগ অভিভাবকের ইচ্ছে তারা তাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেন। যার কারণে তারা নূরানী মাদরাসায় তাদের ছেলেমেয়েদের ভর্তি করাচ্ছেন।


আরো সংবাদ



premium cement