কলাপাড়ায় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত এক বৃদ্ধার ঘরের আকুতি
- কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
- ০৩ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
‘এ্যাহন বৃষ্টি আইলে পাশের বাড়ি থাকমু। হেদিনগো বৈন্যায় মোর ঘরের চাল উড়াইয়া লইয়্যা গ্যাছে। ঘর হারারমত কোন পয়সা-পাতি নাই। ঘর হারমু ক্যামনে, খাওন জোগাইতেই কষ্ট অয়’। এমন আকুতিই ব্যক্ত করলেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ গৈয়াতলা নিবাসী বিধবা মাজেদা বেগম (৭৫)। তার বসবাসের ঘরটির চাল নেই। বারান্দার ওপরে পলিথিন দিয়ে কোনোরকমে ছাউনি বানিয়ে তার মধ্যেই থাকেন তিনি।
গত ২৭ মে’র ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে তার ঘরটি ভেঙে গেছে। শুধু মাজেদাই নন, তার মতো অনেক অসহায় পরিবার ওই ঘূর্ণিঝড়ে বসতভিটা হারিয়েছেন। মাজেদা তার বসবাসের ঘরটি যে সারিয়ে নিবেন সেই তৌফিকও নেই। বিধবা মাজেদার চার সদস্যের সংসারে একদিকে পেটে ভাতের জোগান দিতে শারীরিকভাবে অসুস্থ নিজেকেই টাকা রোজগার করতে হচ্ছে।
মাজেদার আকুতি তাকে যেন সরকার একটি ঘর দেন। গৃহহীনদের ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছে এই সরকার। অনেকেই আছেন ঘর পেয়ে সেই ঘরে থাকেন না। কারণ তাদের অন্যত্র ঘরবাড়ি ও জমাজমি আছে। তাই তিনি একটি ঘর পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া বলেন, রেমালে ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরি ভিত্তিতে ঘর তোলার জন্য টিন দেয়া প্রয়োজন। প্রকৃতপক্ষে পরিষদে টিনের ব্যবস্থা নেই। ওই পরিবারের যে কেউ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে হয়তো কোনো সহযোগিতা পেতে পারে।
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, উপজেলায় যে বরাদ্দ আসে, তা চেয়ারম্যানদের দিয়ে দেয়া হয়। তাই ওই পরিবারকে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানের সাথেই যোগাযোগ করতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা