যশোর জেলা আ’লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ
- যশোর অফিস
- ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:১১
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের মাধ্যমে কোটি টাকা লুট করার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার দুপুরে প্রেস ক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর পশ্চিমপাড়ার আসাদুজ্জামান ও তার পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ২৭ জুন দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন তার ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সামির ইসলাম পিয়াস ও তার বেয়াই নূরুল ইসলামের নেতৃত্বে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার এবং মোটরসাইকেলে আসা অজ্ঞাত ১৫০-২০০ জন তাদের বাড়িঘরে হামলা করে। তারা ওইসময় একটি এস্কেভেটর ও সাতটি ট্রলি নিয়ে এসে হামলা চালায় আসাদুজ্জামানের বাড়িতে। এরপর অস্ত্রের মুখে প্রথমে আসাদুজ্জমানকে ও পরে তার দুই ছেলে ও স্ত্রীদেরকেও মারধর করে।
তারা ওয়্যারড্রোপ ভেঙে জমি বিক্রির নগদ ১০ লাখ টাকা, প্রায় ৩০ লাখ টাকা মূল্যের ৩০ ভরি স্বর্ণের গয়না, চার লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের তিনটি গরু, ছয়টি ছাগল, চারটি সোলার প্যানেল, লেপতোশক, গম, ধানসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এ সময় এস্কেভেটর দিয়ে তারা আট রুমের ঘরটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। যাওয়ার সময় ছয়টি ট্রলিতে করে লুটকৃত মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। ঘটনার পর পুলিশ এসে জড়িতদের একটি এস্কেভেটর ও একটি ট্রলি জব্দ করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১৯৯৩ সালে শিল্প ব্যাংক থেকে কেনা নিলামের জমিতে আসাদুজ্জামান ও তার পরিবারের সদস্যরা বসবাস করে আসছেন। ওই জমির বৈধ কাগজপত্র আসাদুজ্জমানের কাছে আছে। অথচ শহিদুল ইসলাম মিলন ওই সম্পত্তি তার বেয়াই নূরুল ইসলামের বলে দাবি করে দীর্ঘ দিন ধরে জবর দখলের পাঁয়তারা করছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা