১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বন্যায় ছাতক ও কুলাউড়ায় ২৬০ কোটি টাকার ক্ষতি

-


সুনামগঞ্জের ছাতক ও মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ধীরগতিতে নামছে পানি। বন্যায় এই দুই উপজেলায় ২৬০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
ছাতক (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, ছাতকে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। তবে ধীরগতিতে নামছে বন্যার পানি। ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত ছিল গত এক সপ্তাহ। এখনো নিম্নাঞ্চলের অনেক বসতঘর ও রাস্তাঘাটে বন্যার পানি রয়ে গেছে।
বন্যায় এ অঞ্চলের শত শত কাঁচা ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। যে কারণে বানভাসি মানুষ রয়েছেন চরম দুর্ভোগে। উপজেলার বেশ কয়েকটি সড়ক ও সেতু-কালভার্টের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সব রাস্তায় বন্যার পানি কমে যাওয়ায় এখন ক্ষতবিক্ষত চিত্র এখন ফুটে উঠছে। শুধু পাকা ও কাচা সড়কে ক্ষতি হয়েছে অন্তত ২২০ কোটি টাকার।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কে এম মাহবুব রহমান জানান, উপজেলার মধ্যে অনেক কাঁচা সড়ক বন্যায় নষ্ট হয়ে গেছে। এতে অনুমান ২০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে অবহিত করার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে।
ছাতক উপজেলা প্রকৌশলী সাব্বির আহমেদ জানান, বন্যায় বিভিন্ন এলাকার পাকা সড়ক ভেঙে প্রায় ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম কিরণ জানান, চলতি বন্যায় এখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রত্যেক ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

ছাতক-দোয়ারাবাজার এলাকার সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক বলেন, ইতোমধ্যে সরকার বন্যার্ত লোকজনের জন্য পর্যাপ্ত চাল বরাদ্দ দিয়েছে। বন্যায় এখানের রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সেগুলো মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে।
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা জানান, ঈদের দিন রাত থেকে শুরু হওয়া বন্যায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ১৩ দিন হয়ে গেলেও এখনো বন্যা পানিতে রাস্তা ঘাট পানির নিচে। উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভায় মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৪০ কোটি টাকা।
গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে কুলাউড়া আসনের সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তুলের ধরেন। তিনি জানান, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পাকা ও কাঁচা রাস্তার। ৫০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা ও ১৫০ কিলোমিটারা কাঁচা রাস্তার ক্ষতি হয়েছে, যা মেরামত করতে ২৫ কোটি টাকা লাগবে। পাঁচ হাজার ঘরাবড়ির ক্ষতি হয়েছে, যা মেরামত করার জন্য প্রয়োজন ১০ কোটি টাকা। ৯৪টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে, যার ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকা। এ ছাড়াও ৮২০ হেক্টর কৃষি জমির ধান নষ্ট হয়েছে। সবমিলিয়ে কুলাউড়ায় বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ৪০ কোটি টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান সাহেদসহ প্রশাসনের কমকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement