পোনামাছের চাষ করে সফল দেবীগঞ্জের চিনু মাস্টার
- পঞ্চগড় প্রতিনিধি
- ২৯ জুন ২০২৪, ০০:০০, আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ২১:১২
পঞ্চগড় জেলার মাটি উঁচু এবং বেলে দো-আঁশ হওয়ায় পানিধারণ ক্ষমতা কম। এ কারণে শুষ্ক মৌসুমে খাল-বিল শুকিয়ে পানিশূন্য হয়ে পড়ে। এই শুষ্ক এলাকাতেও নানা প্রতিকূলতা পেড়িয়ে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় পোনা মাছের চাষ করে সফলতা পেয়েছেন স্কুলশিক্ষক অশোক কুমার রায় ওরফে চিনু মাস্টার। অল্প সময়ে বেশি লাভ হওয়ায় বড় মাছের চাষ না করে তিনি পোনামাছের চাষ করেছেন এবং সফলতা পেয়েছেন। স্থানীয় সোনাহার উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধানশিক্ষক হলেও বর্তমানে তিনি মাছের পোনা চাষি হিসেবে অধিক পরিচিত।
চিনু মাস্টার জানান, গত বছরের শুরুতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা শার্পের মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল আলমের পরামর্শ ও সহযোগিতায় মাছের পোনা চাষ শুরু করি। প্রথম বছরে দেড় কেজি কার্পজাতীয় মিশ্র মাছের রেণু মজুদ করে বিভিন্ন আকারের প্রায় ২০ মণ পোনামাছ বিক্রি করি। এতে ৪-৫ লাখ টাকা খরচ করে বিক্রয় করি ১৩-১৪ লাখ টাকার পোনা মাছ।
তিনি আরো বলেন, চলতি মৌসুমে আমার মাছের খামারে ৪০-৪৫ মন পোনা মাছ মজুদ রয়েছে। যার বাজারমূল্য ২৮ লাখ থেকে ৩৫ লাখ টাকা।
সেলফ-হেল্প অ্যান্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রামের শার্পের মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল আলম জানান, শার্প ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় সমন্বিত কৃষি ইউনিটের (মৎস্য খাত) তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন শাখায় কারিগরি ও ঋণসহায়তার মাধ্যমে মাছ চাষের টেকসই প্রযুক্তিকে সম্প্রসারণ করছে। অশোক কুমার রায় একজন শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও এলাকায় একজন সফল পোনাচাষি হয়ে উঠেছেন।
দেবীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রতন কুমার বর্মণ বলেন, এ উপজেলায় বিভিন্ন মৌসুমি পুকুরে মাছের পোনা চাষ করার বিষয়ে পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে উপজেলায় আগের তুলনায় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি শার্পসহ বিভিন্ন এনজিওর সহায়তায় পোনা মাছ চাষ করে অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা