নাজিরপুরে জমে উঠেছে মাছ ধরা চাঁইয়ের হাট
- আল-আমিন হোসাইন নাজিরপুর (পিরোজপুর)
- ২৮ জুন ২০২৪, ০০:০৫
বর্ষায় নতুন পানি আসার সাথে সাথে খাল-বিল ও নদ-নদীতে শুরু হয় বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছের আনাগোনা। আর এসব মাছ ধরতে ব্যবহার হয় চাঁই অথবা খাদোইন। পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠী বন্দরে তাই জমে উঠেছে মাছ ধরা চাঁইয়ের হাট। সপ্তাহে দুই দিন এ বন্দরে হাজার হাজার মাছ ধরার চাঁই খুচড়া ও পাইকারী দরে বিক্রি হয়।
জানা গেছে, নাজিরপুরের বিভিন্ন এলাকার বহু পরিবার চাঁই কিংবা খাদোইন তৈরির সাথে জড়িত। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমের ছয় মাস তারা এ মাছ ধরার যন্ত্র তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকেন। চাঁই তৈরিতে ব্যবহৃত হয় তল্লা ও কালী জিরা নামের বাঁশ। একটি বাঁশ দিয়ে ৭-৮টি চাঁই তৈরি করা যায় এবং একজন কারিগর দৈনিক ৫-৬ টির বেশি চাঁই তৈরি করতে পারেন না। প্রতি রবি ও বুধবার হাটে নিয়ে তারা এ চাঁই বিক্রি করেন।
বাজারে এক কুড়ি চাই ৩-৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এ ছাড়া একটি চাঁই ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকায়ও বিক্রি হয়ে থাকে। কারিগররা চাঁই তৈরির জন্য একটি বাঁশ তিনশ’ থেকে চারশ’ টাকায় কিনে থাকেন। চাঁইয়ে ছোট মাছসহ চিংড়িমাছ আটকা পাড়ে।
চাঁই তৈরির কারিগর সুদেব বৈরাগী জানান, তার পরিবারের সবাই মিলে বর্ষা মৌসুমের ৬ মাসই চাঁই তৈরির কাজ করে। বাঁশ কেনা থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ বানাতে কষ্ট ও যে খরচ হয়, সে তুলনায় লাভ খুব একটা বেশি হয় না। তবে এ শিল্প এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। দিন দিন খাল-বিল-নদীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় মাছ শিকারীদের সংখ্যাও কমে গেছে। যে কারণে চাইয়ের চাহিদাও কমে গেছে।
এ দিকে উপজেলা মৎস্য আফিস জানায়, মে মাস থেকে জুলাই মাস অধিকাংশ মাছের পেটে ডিম থাকে। এ মা মাছ না ধরার জন্য জেলেদেরকে সচেতননতামূলক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। তারপরেও এ সময়টাতে জেলেরা মাছ শিকারের জন্য বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র বা জাল ব্যবহার করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা