১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

নিঝুমদ্বীপের লুবনার ঘরটি এখনো রেমালে ধ্বংস স্তূপের মধ্যে

-

নোয়াখালীর নিঝুমদ্বীপে ঘূর্ণিঝড় রেমালের ধ্বংসলীলার এক মাস অতিবাহিত হলেও এর ধ্বংসস্তূপে এখনো চাপা পড়ে আছে লুবনার বসত ঘরটি। ভেঙেপড়া বিধ্বস্ত ঘরটি গাছের সাথে বেঁধে রেক্সিনের ছাউনি দিয়ে স্বামী আবুল কালাম ও পাঁচ সন্তান বসবাস করছেন লুবনা বেগম। খোলা আকাশের নিচে চুলা বানিয়ে স্বামী-সন্তানদের জন্য রান্না করে খাওয়াচ্ছেন বিগত এক মাস ধরে। লুবনার ঘরটি মেরামত বা পুনর্নির্মাণ করে দিতে প্রশাসন এখনো এগিয়ে আসেনি।
সরেজমিন দেখা যায়, নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের পূর্ব মুন্সী গ্রামের ব্রিক ফিল্ড শ্রমিক আবুল কালামের বিধ্বস্ত ঘরটি। কাছে গিয়ে দেখা যায় লুবনা বেগম খোলা আকাশের নিচে বসে দুপুরে খাবার জন্য ভাত রান্না করছেন। তার স্বামী ব্রিক ফিল্ড শ্রমিক আবুল কালাম বর্তমানে বেকার। স্বামীর আয়-রোজগার না থাকায় নিদারুণ কষ্টে দিন যাচ্ছে তাদের।
লুবনা বলেন, এখন বর্ষা কাল। আকাশে যখন তখন মেঘ করে, যখন তখন বৃষ্টি নামে। চারদিক ঘনিয়ে বৃষ্টি এলে বসে বসে শুধু অন্ধকার দেখি। কারো কাছে কোনো সুবিধা না পেলে সামনের অনাগত দিনগুলো আরো কঠিন হয়ে পড়বে তাদের। লুবনা জানান, রেমালের ক্ষয়ক্ষতি দেখতে এসে হাতিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশিক আলী আমার ভাঙা ঘরটি দেখে গেছেন। আমার হাতে দুই হাজার টাকাও দিয়ে গেছেন। এ ছাড়া সরকারি বরাদ্দের চাল ও নগদ টাকা পাচ্ছেন। কিন্তু ভাঙা ঘরটি মেরামত করার মতো সহযোগিতা পাচ্ছেন না তারা।
এলাকার ইউপি সদস্য চাঁন মিয়া বলেন, আমার ৯ নং ওয়ার্ডেই সবচেয়ে বেশি ঘরবাড়ি বিনষ্ট হয়েছে। সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ এলে অবশ্যই লুবনা বেগমের ঘরটি পুনর্নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে। নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দিনাজ উদ্দিন বলেন, ইতোমধ্যে লুবনার ঘরটির মেরামতের জন্য টিনসহ আনুষঙ্গিক সামগ্রীর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শিগগিরই ঘর মেরামতের কাজ শুরু করা যাবে।


আরো সংবাদ



premium cement