উদ্বোধনের ৮ মাস পরও নামাজ আদায় হচ্ছে না
- আনোয়ার হোসেন আখুঞ্জি ডুমুরিয়া (খুলনা)
- ২৮ জুন ২০২৪, ০০:০৫
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা সদরে নির্মিত মডেল মসজিদটি উদ্বোধনের আট মাস পরও সেখানে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা হয়নি। মসজিদের মূল ভবনের বাহ্যিক অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন হলেও আনুষঙ্গিক অনেক কাজই বাকি থাকায় কাজ বন্ধ রয়েছে।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও গণপূর্ত অধিদফতরের মাধ্যমে সারাদেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ষষ্ঠ পর্যায়ে ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ৫০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করেন, তার মধ্যে ডুমুরিয়া উপজেলা মডেল মসজিদটিও রয়েছে।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে গেলে মসজিদের সিঁড়ির মুখ বন্ধ দেখা যায়। খোলা জানালা টপকে ভেতরে ঢুকে দেখা যায়, নিচতলার ফ্লোরে কোনো টাইলস না লাগালেও, ছাদে কয়েকটি ফ্যান ঝুলছে। বৈদ্যুতিক তার টানা থাকলেও, কোথাও সুইচবোর্ড লাগানো হয়নি। ওজুখানার কাজ আংশিক করা রয়েছে। সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কোনো কাজই করা হয়নি।
দোতলায় বড় দরজার মুখ মালামাল দিয়ে আটকানো রয়েছে। সেখানে রঙ না করলেও টাইলস বসানো হয়েছে। তবে ২৭টি ফ্যান ঝুললেও সুইচ নেই। ভবনের বাইরে রং করা, নকশা ও সিঁড়িতে টাইলস বসানো দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদ দেখে অনেকেই গাড়ি থামিয়ে নামাজ আদায়ের জন্য নেমে থাকেন।
এ প্রসঙ্গে মসজিদের কেয়ারটেকার নাঈুমল ইসলাম বলেন, উদ্বোধনের পর গত আট মাসে এখানে তেমন কোনো কাজ হয়নি। চায়ের দোকানদার সফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন গাড়ি থামিয়ে অনেকেই আমার কাছে এসে যখন শোনেন এখানে নামাজ হয় না, তখন আমার লজ্জা লাগে। স্থানীয় লিয়াকত আলী আক্ষেপ করে বলেন, কী আর করবো, নামাজ না হলেও যুবক-যুবতিরা, নতুন দম্পতিরা এসে মসজিদের উপরে উঠে ছবি তোলে।
খুলনা মহানগর জাপা নেতা ঠিকাদার শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, মসজিদের কাজে কিছু বাড়তি উপকরণ ও সংযোগ সড়কের বিষয়টি সিডিউলে না থাকায় আমরা বিপাকে আছি। শিগগিরই কাজ শুরু করব।
গণপূর্ত অধিদফতরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার মন্ডল বলেন, ঠিকাদারকেন্দ্রিক কিছু সমস্যা আছে। আমরা জুলাইতে অন্যভাবে কাজ শুরু করব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন বলেন, কয়েক মাস আগে ডুমুরিয়াতে এসেছি। এখানে যতদ্রুত সম্ভব নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করে দেবো।