রেমালে বিধ্বস্ত বিদ্যালয়ের ঘর ১ মাসেও মেরামতের উদ্যোগ নেই
- লালমোহন (ভোলা) সংবাদদাতা
- ২৬ জুন ২০২৪, ০১:৩৫
দ্বীপজেলা ভোলার লালমোহন উপজেলার পূর্ব চরউমেদ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (নন এমপিও) টিনশেড ঘরটি ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এতে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়টি ২০০২ সালে একটি দোচালা টিনশেড ঘর নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই সময়ে নির্মাণাধীন টিনশেড ঘরটি প্রতিবছর শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক সহযোগিতায় সংস্কার করা হয়। সেই পুরোনো টিনশেড ঘরটিতে নিয়মিতভাবে চলে আসছিল প্রায় ৩২০ জন শিক্ষার্থীর পাঠদান। কিন্তু গত ২৭ মে আকস্মিক ঘূর্ণিঝড় রেমালের কবলে পড়ে প্রতিষ্ঠানটির চাল উড়ে যায়। প্রায় সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয় প্রতিষ্ঠানটি। বেঞ্চ ও হাইবেঞ্চগুলো ভেঙে যায়। বর্তমানে বর্ষা মৌসুমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ব্যাপক দুর্ভোগের মধ্যে পাঠদান চলছে। শ্রেণীকক্ষ ও শিক্ষক মিলনায়তনের অবস্থা নাজুক। প্রতিবছর প্রায় শতভাগ জেএসসি পাস করা এ প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেন নান্নু বলেন, প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নের লক্ষ্যে আমি বিভিন্ন সময় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছি। অদ্যাবধি কোনো ব্যবস্থা হয়নি।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ার পর লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বরাবর মেরামতের জন্য আবেদন করেছি।
আগামী ৩ জুলাই ষান্মাসিক মূল্যায়ন ও পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করেছে শিক্ষা অধিদপ্তর। অথচ প্রতিষ্ঠানটির যে অবস্থা, তাতে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান ও পরীক্ষা অনিশ্চয়তায় মধ্যে পড়েছে। নন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব কোনো ফান্ড না থাকায় মেরামতের উদ্যোগও নেয়া যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ওই স্কুলটির পক্ষ থেকে একটি লিখিত আবেদন পেয়েছি। সেটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে শিগগিরই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা