কচুরিপানায় বন্ধ নদী
প্রভাব জনজীবনে- নূরুল ইসলাম চাটমোহর (পাবনা)
- ২৬ জুন ২০২৪, ০০:০৫
পাবনার চাটমোহরে বড়াল নদীর বুকজুড়ে ভাসমান কচুরিপানা জমে থাকায় বিরূপ প্রভাব পরছে জনজীবনে। নদীতে জোয়ারের পানি এলেও কচুরিপানার কারণে চলমান নেই পানির প্রবাহ। আর নদী ব্যবহার করতে না পারায় এ এলাকার হাজার হাজার মানুষের জীবন যাত্রায় দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসের দিকে এ এলাকার নদ-নদী গুলোতে জোয়ারের পানি এলেও কচুরিপানায় বন্ধ হয়ে যায় নদী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জলপাইগুড়ির পাহাড় থেকে উৎপন্ন হওয়া আত্রাই ও গুর নদী রাজশাহীতে এসে কয়েকটি শাখায় বিভক্ত হয়ে পরে। এর একটি শাখা কয়রাবাড়ি, নন্দনালী ও আত্রাই হয়ে আত্রাই ঘাটের এক মাইল ভাটি হতে “গুড়” নামে সিংড়া, একান্ন বিঘা, যোগেন্দ্রনগর ও কালাকান্দরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চাঁচকৈড় ত্রীমোহনায় নন্দ কুজার সাথে মিশেছে। এদের মিলিত স্রোত গুমানী নামে পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে সেনগ্রাম ত্রিমোহনা এলাকায় দু’টি শাখায় বিভক্ত হয়েছে। একটি শাখা ভাটিতে নূরনগরে বড়াল নদীর সাথে মিশেছে। সেনগ্রাম ত্রিমোহনা থেকে অপর শাখা মির্জাপুর হয়ে ভাটিতে গিয়ে দুই শাখা পুনরায় একত্র হয়ে যমুনায় মিশেছে।
নতুন বাজার খেয়াঘাট সেতুর পিলারের, জার্দিস মোড় সেতুর পিলারের ও নুরনগর সেতুর পিলারের সাথে কচুরিপানা আটকে যাওয়ায় সেখান থেকে উজানের দিকে কচুরিপানা আটকে রয়েছে। দ্রুত কচুরিপানা অপসারণ না করলে সেতুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। প্রায় এক মাস ধরে বড়াল নদীতে কচুরিপানা আটকে থাকায় নদীতে গোসল বা পানি ব্যবহার করতে পারছেন না নদীপারের মানুষগুলো। স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে।
বিলচলন ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, এ এলাকার মানুষ নদীতে নামতেই পারছেন না। গত বছর এমন সময়েও এই একই সমস্যা হয়েছিল। দ্রুত পরিষ্কার করে নদীটি সচল করার দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে চাটমোহর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আক্তার হোসেন জানান, কচুরিপানা জমে থাকায় প্রায় দেড় মাস ধরে নদীতে কোনো প্রকার পানি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। সচল করতে দ্রুত কচুরিপানা অপসারণ করা প্রয়োজন। তিনি আরো জানান, নদীটি পৌরসভার মধ্যে, তাই পৌরসভা থেকে কচুরিপানা অপসারণের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
বড়াল রক্ষা আন্দোলন কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব এস এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমের মতো সারা বছর বড়ালে পানি থাকলেই একে বাঁচানো সম্ভব।’ বড়াল যেভাবে দখল হয়েছে, যা এখনো হচ্ছে, সেটি রোধ করা দরকার। একইসাথে বড়াল এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। সকল এলাকার বর্জ্য, ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে বড়ালে। এ বিষয়ে প্রশাসনিক পদক্ষেপ প্রয়োজন। তিনি আরো জানান, বড়ালে কচুরিপানা অপসারণের জন্য পাবনা-৩ সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন ও চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেদুয়ানুল হালিমের সাথে কথা হলে কচুরিপানা আপসারণের পদক্ষেপ নেব বললেও আজঅবদি কোনো পদক্ষেপ নেননি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা