এক চিকিৎসকে চলছে লংগদুর ৫১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- বিপ্লব ইসলাম লংগদ (রাঙ্গামাটি)
- ২৬ জুন ২০২৪, ০০:০৫
রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার ৫১ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে পুরো এলাকার চিকিৎসাসেবা চলছে একজন চিকিৎসক দিয়ে। অফিস নথিতে পাঁচজন ডাক্তার পোস্টিং থাকলেও দু’জন ট্রেনিংয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। এতে ওই হাসপাতালে সরকারি অবকাঠামো, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও কোনো উপকার আসছে না রোগীদের। ফলে উপজেলার বেশির ভাগ রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে ছুটছেন উপজেলার অন্যান্য হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ জেলা শহরে।
সরেজমিন গত রোববার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের আউটডোর, ইনডোরে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন অসংখ্য রোগী। শুধুমাত্র আউটডোরে একমাত্র চিকিৎসক ডা: আফজাল হোসেন রোগীদের চিকিৎসাপত্র দিচ্ছেন।
ডাক্তার দেখাতে আসা বাইট্টাপাড়া এলাকার রোগী জামাল হোসেন আক্ষেপ নিয়ে ফিরছিলেন বাসায়, তিনি বলেন দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি ডাক্তার দেখাতে পারি নাই, এখন আরো অসুস্থ হয়ে গেছি।
হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এক স্বজন বলেন, এটা নামমাত্র সরকারি হাসপাতাল এখানে দেয়া হয় না প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ তাহলে এখানে চিকিৎসা নিতে এসে লাভ কি? আরেক মহিলা রোগী বলেন, সেবিকাদের আচরণ যথেষ্ট খারাপ, কিছু বলা কিংবা কোনো আবদার করলে ছ্যাং ছ্যাং করে।
চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন রোগী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা নিতে আসি, এখানে একজনের অধিক ডাক্তার কখনোই দেখিনি। অনেক সময় অপেক্ষা করে ডাক্তারের সাথে দেখা হয় কিন্তু ডাক্তার মনোযোগ দিয়ে রোগের বর্ণনা শুনেন না। এ ছাড়াও অভিযোগ রয়েছে এ হাসপতালে জ্বর, ব্যথা, গ্যাস্ট্রিক ও কাটা ফাটাসহ সাধারণ রোগীরাই চিকিৎসা নিতে আসেন। ডাক্তার সঙ্কটে মরণঘাতী কোনো রোগের চিকিৎসাসেবা এ হাসপাতালে দেয়া হয় না।
অনুপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান নিজেও। মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে এসব অভিযোগের কোনো গুরুত্বই দেননি কমপ্লেক্সের প্রধান ডা: শাহীন হোসাইন চৌধুরী। তিনি বলেন, পাঁচজন চিকিৎসক নথিতে থাকলেও দু’জনই রয়েছেন ট্রেনিংয়ে। জুন মাসে ব্যস্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রচুর। এ ছাড়াও রয়েছে জনবল সঙ্কট। তবে পর্যায়ক্রমে সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা