জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে ৬৮ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ
- নুরুল ইসলাম রইসী সিরাজগঞ্জ
- ২৫ জুন ২০২৪, ০০:০৫
সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম এলাকায় যমুনা নদীর তীরে ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন সোলার পার্ক প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। চলতি জুনের ৩০ তারিখ থেকে সোলার পার্ক থেকে উৎপাদিত ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাণিজ্যিকভাবে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন বাড়াতে ‘সিরাজগঞ্জ ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পার্ক প্রকল্পটি’ বাস্তবায়ন করছে যৌথভাবে বাংলাদেশ ও চীন।
সরেজমিনে সিরাজগঞ্জ সোলার পার্ক প্রকল্প অফিসসূত্রে জানা যায়, যমুনা নদীর তীরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ এলাকায় ২১৪ একর জমির ওপর দেড় লক্ষাধিক সোলার প্যানেল যুক্ত প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। বঙ্গবন্ধু সেতুর অব্যবহৃত ২১৪ একর জমি ২৫ বছরের জন্য লিজ নিয়ে ২০ বছরের চুক্তিতে সোলার পার্ক প্রকল্পটি নির্মাণ শুরু করা হয় ২০২২ সালের মে মাসে। পার্কটি স্থাপনে প্রথমে শক্তিশালী ২৭ হাজার পিলার স্থাপন করা হয়। পিলারের ওপর ইস্পাতের ফ্রেমে দেড় লক্ষাধিক সোলার প্যানেল সংযুক্ত করা হয়। ইতোমধ্যে পার্ক সংশ্লিষ্ট ভবন নির্মাণসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এখন পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। জ্বালানি আমদানির ওপর চাপ কমাতে দেশে মোট ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রথম ধাপে সিরাজগঞ্জে নির্মিত প্রকল্প এখন উৎপাদনের পথে পৌঁছে গেছে।
‘সিরাজগঞ্জ ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পার্ক প্রকল্প’টির ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৭ দশমিক ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পের অর্ধেক মালিকানায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি এবং বাকি অর্ধেক মালিকানায় থাকবে চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন (সিএমসি)। এই প্রকল্পের ইপিসি ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছে চীনা কনসোর্টিয়াম অব পেরিয়েশন ফ্রেডিচীনো হাইড্রো। কারিগরি পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান জেড টিম কো লিমিটেড।
এ সোলার পার্ক থেকে বিদ্যুৎ কিনতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)’র সাথে পিপিএ চুক্তি হয়েছে। প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টা ইউনিট বিদ্যুৎ ১০ দশমিক ২০ ইউএস সেন্ট দরে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। ডলারের বিনিময় হার ১১০ টাকা হিসাবে প্রতি ইউনিটের দাম পড়বে ১১ টাকা ২২ পয়সা।
বিসিআরইসিএলের সহকারী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম বলেন, পাউবোর কাছ থেকে পাওয়া ১০০ বছরের ডাটার ওপর ভিত্তি করে পাইলিং ডিজাইন করায় বন্যার পানিতে এর কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই। আগামী ৩০ জুন বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যাবে প্রকল্পটি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা