গুলিয়াখালী সৈকতে পর্যটকরা শৌচাগার সুবিধা থেকে বঞ্চিত
অচিরেই সমস্যার সমাধান করা হবে : ইউএনও- নজরুল ইসলাম সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)
- ২২ জুন ২০২৪, ০৩:০৪
চট্টগ্রামের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকরা শৌচাগার থাকা সত্ত্বেও ব্যবহার করতে পারছেন না। সম্প্রতি একটি বেসরকারি সহযোগিতা সংস্থা সেখানে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী শৌচাগার স্থাপন করে। তবে শৌচাগারে যাওয়া আসার রাস্তা তৈরি না করায় সামান্য জোয়ার এলেই তা পানির নিচে তলিয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ নিয়ে সৈকতে আসা পর্যটকদের ক্ষোভের শেষ নেই।
তবে সহযোগিতা সংস্থা ইপসার প্রোগ্রাম অফিসার হাকিম মোল্লা জানিয়েছেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান সেখানে একটি বাঁধ নির্মাণ করায় জোয়ারের পানি আসার পর তা দ্রুত নিঃসরণ না হওয়ায় পর্যটকদের শৌচাগার ব্যবহারে সাময়িক অসুবিধায় পড়তে হয়।
জানা যায়, সীতাকুণ্ডের দৃষ্টিনন্দন গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকতকে ২০২২ সালে সরকার পর্যটনকেন্দ্র ঘোষণা দেয়ার পর থেকে এর উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ নেয় উপজেলা প্রশাসন।
গত বৃহস্পতিবার ফেনী থেকে আসা রুমা আক্তার জানান, এ সৈকতের সৌন্দর্যের কথা পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পেরে তা দেখতে আসি। দুপুরের দিকে জোয়ার এলে সৈকতে অন্যরকম একটা আবহে বিমোহিত হই। সেখানে শত শত পর্যটকদেরও উদ্দীপনায় মেতে উঠতে দেখেছি। তবে শৌচাগারে যাওয়া আসার রাস্তায় মাটি ভরাট করে দিলে আর সমস্যা হবে না।
এ ব্যাপারে ইপসার প্রধান নির্বাহী আরিফুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। সংশ্লিষ্ট টিমকে পাঠিয়ে সমস্যার সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেব।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, গুলিয়াখালি সৈকত নিয়ে নানামুখী উন্নয়ন কাজ চলছে। এটিও অচিরেই সমাধান করা হবে।
মুরাদপুর ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাহার বলেন, জোয়ারের পানি ধরে রাখতে বাঁধটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তা কেটে দেয়ার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বলা হয়েছে।
দেশের অন্য সৈকত থেকে গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকতের বৈশিষ্ট্য কিছুটা আলাদা। তপ্ত রোদে পর্যটকদের শীতল ছায়া দিতে সৈকতে ছাতা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ম্যানগ্রোভ বনের গাছগাছালি। সৈকতের মাটি সবুজ ঘাসের চাদরে ঢাকা। মাটির আঁকাবাঁকা ভাঁজে ভাঁজে জোয়ারের পানি দোলা দেয়। সে এক অপূর্ব দৃশ্য।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা