বিএমআরই কাজ শেষে আশুগঞ্জ সাইলোর উদ্বোধন
আমদানিকৃত সরকারি গমের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আশুগঞ্জ সাইলোতে খালাস করা হয়- ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
- ২১ জুন ২০২৪, ০১:৪১
প্রায় পঞ্চাশ কোটি টাকা ব্যয়ে আশুগঞ্জ সাইলোর উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুগঞ্জ সাইলো বিএমআরই (ব্যালেন্সিং, আধুনিকায়ন, বিস্তার এবং প্রতিস্থাপন) কাজ শেষে এর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র দাস এমপি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন মঈন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন এনডিসি, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন, আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল করিম খান সাজু ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাক। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন, সাইলো অধিক্ষক সিরাজুস সালেকিন।
খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিদেশ থেকে আমদানিকৃত সরকারি গমের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আশুগঞ্জ সাইলোতে খালাস করা হয়। ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৫২ বছরেরও বেশি সময়ের পুরনো সাইলোটি ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছিল। বর্তমানে সাইলোর যন্ত্রপাতি পুরনো হওয়ায় কাক্সিক্ষত ফলাফল পাওয়া যাচ্ছিল না। সাইলোর ব্যাগিং হাউজ, ডেলিভারি সিস্টেম, ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম, কনভেয়র ব্রিজ, জেটি, সাব-স্টেশন, কন্ট্রোল রুম সিস্টেম ও ওয়েট বুথ ইত্যাদি পুরনো হওয়ায় অপারেশনাল কার্যক্রমে প্রায়ই বিঘœ ঘটত। এতে করে যথাসময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে গম সরবরাহের জটিলতা দেখা দিতো। ফলে সাইলোটির বিএমআরই (ব্যালেন্সিং, আধুনিকায়ন, বিস্তার এবং প্রতিস্থাপন) করার উদ্যোগ নেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বেলজিয়ামের প্রতিষ্ঠান ভিগান ইঞ্জিনিয়ারিং এসএ সাইলোটি বিএমআরই করার কাজটি সম্পন্ন করে।
উদ্বোধনীতে খাদ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বিএমআরই করায় সাইলোটি আবার পূর্ণ যৌবন ফিরে পেয়েছে। একটি নতুন সাইলো নির্মাণে যেখানে ৭০০ থেকে ৮০০ কোটি টাকার প্রয়োজন হতো, সেখানে মাত্র ৪৭ থেকে ৪৮ কোটি টাকা খরচ করে এটিকে আগের অবয়বে নিয়ে আসা হয়েছে। আগামী ২০-২৫ বছর এতে আর হাত দিতে হবে না। তিনি বলেন, আরো অনেক আগেই সাইলোটির বিএমআরই করা দরকার ছিল। কিন্তু কোনো সরকার তা করেনি। বর্তমান সরকার তা করেছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র দাস আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কোভিড ও বিভিন্ন দেশের যোদ্ধাবস্থার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা হাইড করেছেন। জনগণকে হতাশ করেননি। বিচক্ষণতার সাথে মোকাবেলা করেছেন। আগে গরিবেরা রুটি খেতো। এখন গরিবেরা পেট ভরে ভাত খায়, আর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে ধনীরা রুটি খায়। শেষে খাদ্যমন্ত্রী নির্মাণাধীন আশুগঞ্জ রাইস সাইলো পরিদর্শন করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা