১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বেড়েছে মূল্য, দিন দিন আখ চাষে অনাগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা

জিল বাংলা সুগার মিলস
-


আখের দাম বৃদ্ধি করা হলেও দিন দিন আখ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে বৃহত্তর ময়মনসিংহের সর্ববৃহৎ কৃষক ভিত্তিক খাদ্য শিল্প চিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান দেওয়ানগঞ্জ জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেডের আখ চাষ জোন এরিয়ার আখ চাষিরা। যমুনা-ব্রহ্মপুত্র নদনদী বিধৌত পলি ধোঁয়াশ মাটি আখ চাষের উপযোগী হওয়ায় ১৯৫৮ সালে জামালপুরের ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, কুড়িগ্রামের রৌমারী এবং রাজিবপুর এলাকার আখ চাষকে কেন্দ্র করে এই এলাকাকে মিল জোন এরিয়া নির্ধারণ করে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ এলাকায় জিল পাক সুগার মিলস্ নামে কৃষিভিত্তিক (চিনি ও খাদ্য) শিল্প প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এটির নাম রাখা হয় জিল বাংলা সুগার মিলস্। পরে সরকারি এই শিল্প প্রতিষ্ঠানকে চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরশনের আওতায় লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত করা হয়।

কৃষিভিত্তিক খাদ্য শিল্পের এ প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে এই অঞ্চলে গড়ে উঠে উপশহর। আখ চাষের মাধ্যমে এ অঞ্চলের কৃষক, শ্রমিক, চাকরিজীবী, শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষের ভাগ্যে ব্যাপক উন্নতি ঘটে। উন্নয়ন ঘটে রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চিনি ও আখের মূল্য বৃদ্ধি করা হলেও দিন দিন কমে যাচ্ছে আখ চাষ। ক্রমাগত ছোট হয়ে আসছে মিলের আখ চাষ জোন এরিয়ার পরিধি। ফলে এক-তৃতীয়াংশ সময়ও চলছে না মিলের আখ মাড়াই মৌসুম।
বর্তমানে জামালপুর সদর, ইসলামপুর, মেলান্দহ এবং দেওয়ানগঞ্জের কিছু অংশের আখ দিয়ে এক মাসেরও কম সময় চলে থাকে জিল বাংলার মাড়াই মৌসুম। এতে দিন দিন লোকশানের পাল্লাও ভারি হচ্ছে।
জানা যায়, জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেডের ৬৩৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী বসে বসে মাসে মাসে কোটি কোটি টাকা বেতন গুণছেন। হাঁকাচ্ছেন বিলাসবহুল গাড়ি, থাকছেন সুন্দর বাড়িতে। মিলের যে কি পরিণতি সেই চিন্তা কি আছে তাদের? এমন প্রশ্ন স্থানীয়দের।

মিলের কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত আখ মাড়াই মৌসুমে পাঁচ হাজার ৫০০ একর জমি আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও অর্জিত হয়েছে চার হাজার ৭০৪ একর।
মিলের মহা ব্যবস্থাপক (কৃষি) কৃষিবিদ আমিনুল ইসলাম বলেন, গত মাড়াই মৌসুমে আখ চাষের জন্য ৩০০ একর জমি প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।
মিলের কৃষি বিভাগ জানায়, আগামী মৌসুমে পাঁচ হাজার একর জমিতে আখ রোপণের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে চার হাজার ৭০৫ একর জমিতে আখ রোপণ করা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৯৫ একর কম।
মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান নয়া দিগন্তকে বলেন, এ যাবত কালের মধ্যে এই প্রথম আখের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। গত মাড়াই মৌসুমে প্রতি মণ আখ ২২০ টাকায় ক্রয় করা হয়েছে। আগামী মৌসুমে প্রতি মণ আখ ২৪০ টাকা মূল্যে চাষিদের কাছ থেকে ক্রয় করা হবে। তবুও কেন দিন দিন আখ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা পরবর্তী প্রতিবেদনে এর অনুসন্ধান করা হবে বলে জানান তিনি।
মিল সূত্রে জানা যায়, জিল বাংলা সুগার মিলের নিজস্ব জমির পরিমাণ ৫৮ একর। অথচ প্রতি বছর বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানকে গুনতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের ব্যাংক সুদ।
গত আখ মাড়াই মৌসুমেও মিলটিকে শুধু ব্যাংক ঋণের সুদই গুনতে হয়েছে ৫৩ কোটি টাকা। ফলে কালের পরিক্রমায় এ অঞ্চলের গৌরব জিল বাংলা সুগার মিলস তার যৌলস হারিয়ে রুগ্ন থেকে রুগ্ন শিল্পে পরিণত হচ্ছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
নাশকতা মামলায় জামালগঞ্জ উপজেলা মৎস্যজীবী লীগ নেতা গ্রেফতার ২৩ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বেক্সিমকোর দায়-দেনা ৫০৫০০ কোটি টাকা দোয়ারাবাজারে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার এবার আমন সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে : খাদ্য উপদেষ্টা কুলাউড়ায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ আ‘লীগ নেতা গ্রেফতার সোমবার যেসব এলাকায় ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না হাবে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বঞ্চিত ৭৬৪ কর্মকর্তা পদমর্যাদা ও আর্থিক সুবিধা পাবেন দেওয়ানগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় গৃহবধু নিহত মদিনা রুটে ফ্লাইট বাড়িয়েছে বিমান বাংলাদেশ চৌদ্দগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩

সকল