চৌগাছায় পশুর হাট পেরি-ফেরিভুক্ত না হওয়ায় কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
- এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর)
- ১৬ জুন ২০২৪, ০০:০৫
যশোরের চৌগাছায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। পশু কেনাবেচায় ইজারাদারদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে পশুর হাটটি সরকারের পেরি-ফেরিভুক্ত না হওয়ায় সরকার প্রতি বছর কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জানা যায়, খুলনা বিভাগের সব থেকে বড় পশুর হাট চৌগাছায়। পশুর হাটটি চৌগাছা-মহেশপুর সড়কের বেলে মাঠে বসে। সপ্তাহে শুক্র-সোম দুই দিন বসে এ পশুর হাটটি। এ হাটে রাজধানী ঢাকা, চিটাগাঙ, নোয়াখালি, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বড় বড় ব্যাপারিরা গরু-ছাগল কিনতে আসেন। প্রতি হাটে ৮০ থেকে ৯০ ট্রাক গরু এ হাট থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যায়। প্রতিটি ট্রাকে ২০ থেকে ২২টি করে গরু থাকে। সেই হিসাবে প্রতি হাটে এক হাজার ৯৮০টি গরু এ হাট থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত শুক্রবার ছিল চৌগাছা পশুর হাট। হাটে গিয়ে দেখা যায়, পশুর হাটটি সরকারের পেরি-ফেরিভুক্ত নয়। স্থানীয় পৌরসভা এ হাট থেকে খাজনা আদায় করে থাকে। ফলে কোনো নিয়ম কানুন না মেনেই নেয়া হয় খাঁজনা। হাটটি যদি পেরি-ফেরিভুক্ত হতো তাহলে খুলনা বিভাগের সব চেয়ে বড় এই পশুর হাট থেকে সরকার প্রতি বছর কোটি টাকার রাজস্ব আয় করতে পারত।
প্রাণিস¤পদ মন্ত্রণালয়ের স্পষ্ট নির্দেশনা গরুর হাটে বিক্রেতাদের কাছ থেকে কোনো খাজনা আদায় করা যাবে না। কেবল ক্রেতাদের কাছ থেকে নির্ধারিত হারে খাজনা আদায় করতে হবে। কিন্তু এ নিয়ম মানা হচ্ছে না এ হাটে।
গরু কিনতে আসা ব্যাপারি আসাদুজ্জামান বলেন, ইজারাদারের লোকজন নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত টাকা আদায় করে নিচ্ছেন। পাশাপাশি নিয়ম না থাকলেও বিক্রেতাদের কাছ থেকেও জোরপূর্বক খাঁজনার নামে টাকা আদায় করছেন তারা। যা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর আইনে দণ্ডিত অপরাধ। ইজারাদার আতাউর রহমান লাল জানান, শুধু আমরাই না, ঈদ উপলক্ষে সব গরুর হাটেই খাজনা বেশি করে নেয়া হয়। আমরা অতিরিক্ত খাজনা নিচ্ছি না।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের দফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বিভাগের এক হাজার ৩০৩টি স্থায়ী এবং তিন শতাধিক অস্থায়ী পশুর হাট বসে। হাটের সাথে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ইজারাদার সিন্ডিকেট অবৈধভাবে ক্রেতা বিক্রেতাদের কাছ থেকে গরু প্রতি এক হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছেন। প্রশাসনের চোখের সামনে এ ধরনের ঘটনা অব্যাহত থাকলেও ব্যবস্থা নেয়ার নজির দেখা যাচ্ছে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা