সাদুল্লাপুরে হ্যান্ড পেইন্টের কাজ করে ভাগ্য বদলের চেষ্টা মুন্নীর
- সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) সংবাদদাতা
- ১৪ জুন ২০২৪, ০০:০৫
গৃহবধূ কাজল রেখা মুন্নী সংসারের আর্থিক সচ্ছলতা আর ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ ভাবনা নিয়ে ভাগ্য বদলে শুরু করেছেন হ্যান্ড পেইন্টের কাজ। গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে তার নিজের হাতের কলা কৌশলে রঙতুলির আঁচড়ে নানা রঙের বাহারি নকশায় তৈরি করছেন বিভিন্ন ধরনের জামা-কাপড় ও অন্যান্য বস্ত্র। এরই মধ্যে তার তৈরিকৃত পোশাক বাজারজাত শুরু হলে এর চাহিদা অনেকটা বাড়তে থাকে।
মুন্নীর বাড়ি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা কলেজপাড়ায়। তিনি সাবেক মেম্বর খায়রুল ইসলামের স্ত্রী। স্বামী, ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে মুন্নীর সংসার।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মুন্নীর হ্যান্ড পেইন্ট কাজের অপরূপ দৃশ্য। রঙতুলি ও ডাইসের স্পর্শে বর্ণিল হয়ে উঠছে হরেক রকমের পোশাক। ওই এলাকার কয়েকজন নারী তার এ কাজে উৎসাহী হয়ে কাজ শিখে নিজেরাও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছেন।
এসএসসি পাস মুন্নী এসডিএফ নামে একটি এনজিও থেকে ডেইরি-পোল্ট্রিসহ হ্যান্ড পেইন্টের প্রশিক্ষণ নিয়ে যুব উন্নয়ন অধিদফতরের ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে তা শেষ হলে নিজ বাড়িতে শুরু করেন হ্যান্ড পেইন্টের কাজ। তিনি তৈরি করছেন রুচিসম্মত থ্রি পিস, টেবিল ক্লোথ, বিছানার চাদর ইত্যাদি। আর এসব বস্ত্রাদি বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন বাজারে। বর্তমানে তার এই কারখানায় ১০ জন নারী শ্রমিক কাজ করছেন।
স্থানীয় লিজা আক্তার নামের এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, মুন্নী আপার পেইন্ট করা থ্রি পিস আমিও কিনেছি।
এই হ্যান্ড পেইন্টের কারখানার শ্রমিক ফরিদা বেগম বলেন, মুন্নী আপা প্রতিষ্ঠিত হলে আমরাও এক দিন ভালো বেতন পাবো।
এ বিষয়ে মুন্নী বলেন, সবেমাত্র কারখানা চালু করেছি। এটি অত্যন্ত লাভজনক। এখন উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। তবে পুঁজি না থাকায় বড় পরিসরে কাজ করতে পারছি না। সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা পেলে আরো শতাধিক নারীর কর্মসংস্থান করা যেতে পারে এখানে।
গাইবান্ধা বিসিক সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রবিন রায় বলেন, মুন্নী বেগমের কারখানাটির খোঁজ খবর নিয়ে তাকে আর্থিক সহায়তায় ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা