নোয়াখালীতে দাফনের ৩৬ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
- নোয়াখালী অফিস
- ১৩ জুন ২০২৪, ০০:০৫
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় মৃত্যুর ৩৬ দিন পর মো: আলাউদ্দিন (২৬) নামে এক দিনমজুরের লাশ কবর থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমৃত দেবনাথের উপস্থিতিতে উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের বাটইয়া গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়। এর আগে, গত ১ মে উপজেলার যাদবপুর গ্রামে নরোত্তমপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এ কে এম সিরাজ উল্যার বাড়িতে যুবককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে স্থানীয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
নিহত আলাউদ্দিন উপজেলার বাটইয়া গ্রামের মহিন উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় গত ৩ জুন নিহতের মা নুরজাহান বেগম বাদি হয়ে নরোত্তমপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এ কে এম সিরাজ উল্যাকে প্রধান আসামি করে নিশান ও কবির নামে তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামা পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিআর মামলা দায়ের করেন।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, তাদের বাড়ির জায়গা নিয়ে সমস্যা হলে নরোত্তমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ কে এম সিরাজ উল্যার কাছে বিচার প্রার্থনা করে। ওই জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১ মে রাতে চেয়ারম্যান সিরাজ তাদের ছেলে আলাউদ্দিনকে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। এরপর সেখানে দুই দিন আটকে রেখে তার অনুসারী নিশান ও কবিরসহ তারা আমার ছেলেকে লোহার রড, জিআই পাইপ দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আলাউদ্দিন মারা যান।
নরোত্তমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সিরাজ উল্যা বলেন, এক সময় তারা জমি বিক্রি করতে চাইছে আমি ক্রয় করিনি। আমি এক একজন জনপ্রতিনিধি আমার কাজ হচ্ছে মানুষের জানমাল রক্ষা করা। আমি কোনোভাবেই এ ঘটনার সাথে জড়িত নই।
কবিরহাট থানার ওসি হুমায়ন কবির বলেন, নিহতের মা আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত থানায় মামলাটি রুজু করার নির্দেশ দেয়। আদালতের আদেশে তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা