ঘূর্ণিঝড়ে সব হারিয়ে পলিথিনের ঘরে বসবাস
- কাউখালী (পিরোজপুর) সংবাদদাতা
- ১২ জুন ২০২৪, ০০:০৫
‘এক এক বার বন্যা আয় আর মোগো সবকিছু লইয়া যায়, এবারগো ঘূর্ণিঝড়ে মোগো থাকার ঘরটাও লইয়া গেল। মোরা অসহায়, মোদের কেউ খোঁজখবর রাখে না।’ বড় আক্ষেপ করে কথাগুলো বললেন ঘূর্ণিঝড়ে সব হারিয়ে নিঃস্ব মানসুরা বেগম।
পিরোজপুরের কাউখালীতে অসহায় দিনমজুর মানসুরা ও ফুয়াদ হোসেনের পরিবার ঘূর্ণিঝড়ে সব হারিয়ে বাঁশের চাটাই ও পলিথিন দিয়ে ঘর বানিয়ে সেখানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার শিয়ালকাঠি ইউনিয়নের দক্ষিণ শিয়ালকাঠি গ্রামের ডরের বাড়ির সিকান্দার হাওলাদারের দিনমজুর ছেলে ফুয়াদ হোসেনের মাথা গোঁজার একমাত্র সম্বল ছোট্ট ঘরটিও এবারের রেমালে ভেঙে গেছে। স্ত্রী ও সাত সন্তান নিয়ে বসবাসের মতো কোনো ছাউনি নেই। পাশের খোলা জায়গায় কোনো মতে বাঁশের চাটাই ও পলিথিন দিয়ে ছোট ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে বাস করছেন। বাতাসে পলিথিন ছিঁড়ে যাচ্ছে, বৃষ্টিতে পলিথিন চুইয়ে পানি পড়ছে।
অসহায় ফুয়াদ হোসেন বলেন, অভাবের সংসারে কিভাবে ঘর মেরামত করব। মাত্র ছয় শতাংশ জায়গা আমার। ফুয়াদের মাদরাসা পড়ুয়া মেয়ে আসমা বলেন, ‘মোগো ঘর-বাড়ি নাই, ঘরে খাবার নাই, ঘূর্ণিঝড় বন্যায় মোগো বই, খাতা সব নষ্ট হয়ে গেছে। মোরা কোথায় থাকমু, কী খামু একমাত্র আল্লাহই জানে।’
স্থানীয় মেম্বার রনি জানান, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ফুয়াদ হোসেনের বাড়িতে আমি গিয়েছি। বাস্তবে অসহায় পরিবারটির সামর্থ্য নেই একটি ঘর উঠাবার।
শিয়ালকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান গাজী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমরা ঘর তৈরির তালিকা তৈরি করছি। যতদূর সম্ভব সহযোগিতা করা হবে।