দোয়ারাবাজারে ভারতীয় গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা
জমে উঠছে কোরবানির হাট- সোহেল মিয়া দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ)
- ১২ জুন ২০২৪, ০০:০৫
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে পশুর হাটগুলোতে উঠতে শুরু করেছে পশু। খামারগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের পরিচর্যা। খামার মালিকরা জানিয়েছেন, খাদ্য, ওষুধ ও বিদ্যুতের দামের পাশাপাশি শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধিতে গত বছরের তুলনায় এবার পশুর দাম চড়া যাবে। তবে অবৈধ পথে ভারতীয় গরু আসায় বাজারে বিক্রেতা বেশি ও ক্রেতা কম হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন উপজেলার ছোট-বড় খামারিরা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: ইমান আল হোসাইন নয়া দিগন্তকে জানান, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ছোট-বড় নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত মিলিয়ে গরুর খামার রয়েছে ৫৫টি। খামার ও কৃষক মিলিয়ে এবার উপজেলায় কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে ১৭ হাজারের বেশি। চাহিদা রয়েছে ১৬ হাজার। আর উপজেলায় আটটি পশুর হাটের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
দোয়ারাবাজারের জোহান এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী শফিকুল ইসলাম জানান, গত বছর ২৫ কেজির খাবারের দাম ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা ছিল। এখন দাম বেড়ে হয়েছে ১৬০০-১৯০০ টাকা। শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে ২০ শতাংশ। তাও দক্ষ শ্রমিক পাওয়া যায় না। ওষুধের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ।
উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও নরসিংপুর ইউনিয়নের খামারি রফিকুল ইসলাম বলেন, ভারতীয় গরু আসায় বাজারে আশানুরূপ দাম নেই। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খামারিরা। উপজেলার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ঈদকে টার্গেট করে পাঁচ থেকে দশটি করে গরু পালন করা হয়।
উপজেলা ছোট-বড় আরো একাধিক খামার মালিক বলেন, এখন বাজারে গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। খাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসা খরচ বেড়ে যাওয়ায় কেজিপ্রতি ১০০ টাকা দাম বেড়েছে। তাই কোরবানির পশুর দামও বেশি পড়বে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: ইমান আল হোসাইন বলেন, উপজেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে কোরবানির পশু রয়েছে। প্রতিটি হাটে ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম দেয়া হয়েছে। সুতরাং আমাদের এখানে ভারতীয় গরুর কোনো প্রয়োজন নেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা