বড়াইগ্রামে অবৈধ পশুর হাট বসিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ
- বড়াইগ্রাম (নাটোর) সংবাদদাতা
- ০৯ জুন ২০২৪, ০০:০৫
নাটোরের বড়াইগ্রামের আহম্মেদপুরে অবৈধভাবে পশুর হাট বসিয়ে লাখ লাখ টাকা টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। মসজিদের নামে রসিদ ছাপিয়ে এভাবে চাঁদা উত্তোলন করা হলেও মসজিদের তহবিলে কোনো টাকা দেয়া হয় না বলে জানা গেছে। এসব অনিয়ম বন্ধ ও সরকারি স্বার্থরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক ও ইউএনওর কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
জানা যায়, আহম্মেদপুরে সরকারিভাবে কোন পশুর হাটের অনুমোদন নেই। কিন্তু স্থানীয় সরকার দলীয় কিছুসংখ্যক লোক আহম্মেদপুর বাজার ও বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদের উন্নতিকল্পে ছাগলের হাট নাম দিয়ে অবৈধভাবে একটি হাট বসিয়েছে। তারা প্রতি শুক্রবার এখানে ছাগলের হাট বসিয়ে মসজিদের নামে রসিদ ছাপিয়ে বছরের অন্যান্য সময়েও ৩০-৪০ হাজার টাকা হাসিল (টোল) আদায় করে। এ ছাড়া ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা।
এ ব্যাপারে আহম্মেদপুর বাজার ও হাট ইজারাদার এস এম কামরুজ্জামান রউফ জানান, প্রতি সপ্তাহেই তারা এখানে ছাগলের হাট বসায়। স্থানীয় কৃষক লীগ নেতা ইসাহাক আলী ও যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে তাদের লোকজন ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে চাঁদা তোলেন।
আহম্মেদপুর বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জরিপ আলী মৃধা বলেন, তারা সরকারি দলের নেতাকর্মী। মসজিদের উন্নয়নের কথা বলে চাঁদা তুললেও মসজিদের তহবিলে কোনো টাকা-পয়সা দেয়া হয় না। সব টাকা নিজেরাই ভাগাভাগি করে নিয়ে নেয়।
এ ব্যাপারে ছাগলের হাট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা জোয়াড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় ১৫ বছর ধরে মসজিদের নামেই এ হাটটি চলে। আদায় করা টাকার একটি অংশ আমরা মসজিদের জন্য জমা রেখেছি।
ইউএনও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি এ উপজেলায় নতুন। বিষয়টি জানা ছিল না। সরকারি অনুমোদন ছাড়া হাট বসানোর কোনো সুযোগ নেই। এ অবৈধ হাট বন্ধের খুব শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা