১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

গলাচিপায় জেলেদের চাল নিয়ে নয়ছয়

৪০ কেজির পরিবর্তে দেয়া হচ্ছে ২০ কেজি
-

গলাচিপায় জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বকুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। প্রকৃত জেলেদের চাল না দিয়ে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে চেয়ারম্যান তার নিজের লোকজনদের চাল দিচ্ছেন। এ ছাড়া টাকার বিনিময়ে উপকার ভোগী জেলেদের তালিকা করা হয়েছে বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। চাল বিতরণের সময় জেলেদের দেয়া হচ্ছে অর্ধেক পরিমাণ চাল।
সূত্র জানায়, উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নে ১১শ’ জেলে রয়েছে। এর মধ্যে বিশেষ ভিজিএফের আওতায় ৩৮০ জন উপকারভোগী জেলে আছেন। মার্চ ও এপ্রিল এই দুই মাস ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা, বাজারজাত করা, সংরক্ষণ, পরিবহন বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। এ জন্য জেলেদের প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চাল বরাদ্দ করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চাল না দিয়ে ২০ কেজি করে চাল দিচ্ছেন এবং পরিবহন খরচ বাবদ প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নিচ্ছেন।
৩ নং ওয়ার্ডের লামনা গ্রামের জেলে আনোয়ার হোসেন মৃধা জানান, আমি মাছ ধরে খাই। শুনেছি আমার নামে প্রতি মাসে ৪০ কেজি চাল দিচ্ছে সরকার। কিন্তু আমি দুই মাসে ২০ কেজি করে মোট ৪০ কেজি চাল পেয়েছি। ওই ইউনিয়নের সমাজ সেবক নাসির উদ্দীন হাওলাদার জানান, পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকার বিনিময় ভুয়া জেলে সাজিয়ে তাদের নামে চাল বরাদ্দ দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এক জেলের চাল দুজনকে ভাগ করে দেয়া হচ্ছে।
গলাচিপা উপজেলা মৎস অফিসার মো: জহিরুন্নবী জানান, চাল কম বরাদ্দ হওয়ায় উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক একজনের চাল দুজনকে ভাগ করে দেয়া হচ্ছে। তবে পরিবহন খরচ বাবদ এলাকাভিত্তিক তারতম্য রয়েছে। কিন্তু তাও খুব সামান্য। তবে ভুয়া জেলেদের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।


আরো সংবাদ



premium cement